ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

৫ শর্তে প্রবাসীদের আকুদ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ৩ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১৮:৩১, ৩ অক্টোবর ২০২৪

৫ শর্তে প্রবাসীদের আকুদ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ

প্রবাসী

আগামী নভেম্বর থেকে কুয়েতের সরকারি প্রজেক্ট বা আকুদ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। তবে মানতে হবে কিছু শর্ত।

স্থানীয় দৈনিক ‘কুয়েত টাইমস’ আরর টাইমসসহ একাধিক গণ্যমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসেফের একটি নতুন সিদ্ধান্ত জারির উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, আকুদ বা সরকারি প্রজেক্ট ভিসা পরিবর্তনে প্রবাসীদের জন্য ৫টি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এগুলো হলো:

১. সরকারি প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে হবে।

২. জনশক্তি ও পাবলিক অথরিটির নিকট ভিসা পরিবর্তন বিষয়ে কোম্পানির সরকারি কোনো প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তি নেই এই মর্মে লিখিতপত্র জমা দিতে হবে।

৩. সরকারি প্রকল্পে চুক্তির অধীনে কর্মরত শ্রমিকের কমপক্ষে একবছর অতিবাহিত হতে হবে।

৪. বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অবশ্যই ভিসা পরিবর্তনের অনুমতিপত্র নিতে হবে।

৫. ভিসা পরিবর্তন বাবদ ৩৫০ কুয়েতি দিনার ফি জমা দিতে হবে।

কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশটির ক্লিনিং কোম্পানিগুলোতে এক তৃতীয়াংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করছেন। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশি শিক্ষিত প্রবাসী বিভিন্ন কারিগরি কাজে দক্ষ হওয়া সত্বেও ও আকামা জটিতার কারণে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেননি। শ্রমিকরা নিজ কোম্পানিতে ৮ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৭৫ কুয়েতি দিনার বেতনে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৭ হাজার টাকা।

আকুদ ভিসার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে শ্রমিকদের নিজ দেশে চলে যেতে হতো।কোম্পানির নতুন অন্য কোনো সরকারি প্রকল্পে কাজের চুক্তি হলে নির্দ্রিষ্ট ফি দিয়ে শ্রমিকদের আকামা নবায়ন করতে হতো।

সেসব ক্লিনিং কোম্পানির শ্রমিকরা সরকারি প্রজেক্টে কাজ করেন, তাদের ভিসা ক্যাটাগরি আকুদ হুকুমা বা সরকারি প্রজেক্টের ভিসা বলা হয়ে থাকে।

কুয়েত সরকারের সরকারি প্রজেক্টের ভিসা পরিবর্তনের খবর শুনে খুবই আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আসছে নতুন এই সুযোগ শর্ত পূরণ করে প্রবাসীরা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ভিসা পরিবর্তনের মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারলে পূর্বে চেয়ে আয় বাড়বে এবং বাড়বে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। সেই সঙ্গে বাড়বে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ।

শহিদ

×