ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

নাসরুল্লাহকে হত্যার কারণ জানাল ইসরায়েল

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাসরুল্লাহকে হত্যার কারণ জানাল ইসরায়েল

নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এ নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার কারণ জানিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এ নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে গেল রাতে (শুক্রবার) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি সুনির্দিষ্ট আঘাতে হত্যা করেছে। তিনি হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরে ছিলেন এবং ইসরায়েলের জনগণের বিরুদ্ধে আরও হামলার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। হিজবুল্লাহ বহু বছর ধরে, হাসান নাসরাল্লাহর নেতৃত্বে অসংখ্য নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। নাসরাল্লাহর হাতে রয়েছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর রক্ত। ইসরায়েলি, ইহুদি, বিশ্বজুড়ে ইহুদি সম্প্রদায়, লেবানিজ, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ফরাসি, সিরিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের অসংখ্য মানুষ তার শিকার।

৮ অক্টোবর হিজবুল্লাহ হামাসের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই, প্রায় এক বছর ধরে নাসরাল্লাহর নেতৃত্বাধীন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের শহর ও গ্রামগুলোতে হাজার হাজার রকেট, আত্মঘাতী ড্রোন, অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল, ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে। এর ফলে ৬০,০০০ ইসরায়েলি তাদের উত্তরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। হিজবুল্লাহ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে- তারা 'গ্যালিলি জয়' নামক পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ৭ অক্টোবরের মতো আরও বড় আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী তা কখনোই ঘটতে দেবে না। নাসরাল্লাহ, এই শয়তানি সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতা এবং তার সঙ্গী শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু। নাসরাল্লাহ ইচ্ছাকৃতভাবে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকায় আবাসিক ভবনের নিচে স্থাপন করেছিল, কারণ হিজবুল্লাহ লেবানিজ বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।

আমাদের যুদ্ধ লেবাননের জনগণের সঙ্গে নয়, আমাদের যুদ্ধ হিজবুল্লাহর সঙ্গে। নাসরাল্লাহর মৃত্যুর ফলে হিজবুল্লাহর হাতে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার হয়েছে। আমরা বারবার বিশ্বকে সতর্ক করেছি যে, হিজবুল্লাহ লেবানন এবং গোটা অঞ্চলকে বড় সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইসরায়েল বৃহত্তর সংঘাত চায় না, আমরা শুধু দুটি জিনিস চাই: আমাদের জিম্মিদের মুক্তি এবং আমাদের সীমানা নিরাপদ রাখা।

তাসমিম

×