ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ পেল

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ পেল

শাহবাজ শরীফ নিউইয়র্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঋণ প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে আরও ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই শাহবাজ শরীফ নিউইয়র্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঋণ প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) অনুমোদন করেছে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ, যা দক্ষিণ এশীয় দেশটির চাপে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাক্ষাতে আইএমএফ প্রধান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। তিনি সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর প্রতিও সন্তোষ প্রকাশ করেন, যা আইএমএফের ঋণ অনুমোদন সহজ করেছে বলে উল্লেখ করেন।

আইএমএফ প্রধান বলেন, আমাদের কাছে সুসংবাদ রয়েছে। আমরা সফলভাবে ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছি। পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাই তাদের নিজস্ব সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যা এরই মধ্যে সুফল বয়ে আনছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং অর্থনীতি একটি দৃঢ় পথে রয়েছে।

সংস্কারগুলো পাকিস্তানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনুভব করছি, এটি ঘটছে। সরকার ধনীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বেনাজির কর্মসূচিকে শক্তিশালী করেছে, যা দরিদ্রদের সহায়তা করছে।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শাহবাজ শরীফ এই ঋণ অনুমোদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংস্কারের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বৃদ্ধি সরকারের অর্থনৈতিক দলের কঠোর পরিশ্রমেরই প্রমাণ।

তিনি অভিবাসী পাকিস্তানিদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি সরকারের নীতির প্রতি তাদের আস্থার প্রতিফলন।

শাহবাজ শরীফ আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যদি এভাবে কাজ চলতে থাকে, তাহলে এটিই হবে আইএমএফর কাছ থেকে পাকিস্তানের শেষ ঋণ কর্মসূচি।

তিনি সৌদি আরব, চীন, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ঋণ প্যাকেজে এসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

সূত্র: ডন

তাসমিম

×