ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

ইরান আমার জীবনের জন্য বড় হুমকি-ট্রাম্প

এবার কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরে বন্দুক হামলা

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরে বন্দুক হামলা

কমলা হ্যারিস

ট্রাম্পের পর এ বার প্রশ্ন উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়েও। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আরিজোনায় ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী প্রচার দপ্তরে চলল গুলি।
আরিজোনার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের প্রিস্ট ড্রাইভের কাছে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির প্রচার দপ্তরে গুলি চলে। এরপর দপ্তরে ঢুকে গুলির চিহ্ন পায় পুলিশ। তবে সে সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। ফলে কেউ আহত হননি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোয়েন্দাদের একটি দল। কে বা কারা এবং কেন ডেমোক্র্যাট দলের দপ্তরে গুলি চালাল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনার পর বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে কমলার প্রচার দপ্তরে ঢুকে কর্মীরা দেখেন, দপ্তরের সামনের জানালার কাঁচ ভাঙা। সেখানেই গুলি চালানো হয়েছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতের পর একইভাবে কমলার দপ্তরে গুলি চলে। ছররা বন্দুক দিয়ে জানালা লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল গুলি। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় আরও একটি হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।

এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান তার জীবনের জন্য ‘বড় হুমকি’। বুধবার ভোরে ট্রাম্পের নির্বচনী প্রচার দল মার্কিন গোয়েন্দারা তাকে তেহরানের ‘বাস্তব ও সুনির্দিষ্ট’ হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে বলে জানায়। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও আলজাজিরা অনলাইনের। 
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেন, ইরান আমার জীবনের জন্য বড় হুমকি। সমগ্র মার্কিন সামরিক বাহিনী নজর রাখছে এবং কী ঘটে দেখার অপেক্ষায় আছে।  ইরান ইতোমধ্যে এমন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি। তবে তারা আবারও চেষ্টা করবে। অনেক বেশি মানুষ, বন্দুক ও অস্ত্র নিয়ে আমাকে ঘিরে রেখেছে, যা আমি আগে কখনো দেখিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য হতাশাজনক ফলের আভাস দিচ্ছে।

সোমবার প্রকাশিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য ‘মধুচন্দ্রিমা’ শেষ হচ্ছে। ৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যকে সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, তার মধ্যে এ তিনটি রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের করা ১ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের জরিপে দেখা গেছে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটিতে কমলা পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে এসব অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এ তিনটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জিতলে তার জন্য ২৬২টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া সহজ হবে। অর্থাৎ তাকে হোয়াইট হাউসে যেতে হলে তিনটি ডেমোক্র্যাট অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত মিশিগান, পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের মধ্যে যে কোনো একটি জিতলেই চলবে।  অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ৭১৩ জন ভোটারের মধ্যে করা জরিপে দেখা গেছে, এখানে ট্রাম্প সবচেয়ে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। গত আগস্ট মাসে এখানে ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিলেন কমলা।

কিন্তু ট্রাম্প আবার কমলাকে পেছনে ফেলে ৫ পয়েন্টে এগিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৫০ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ। জর্জিয়ায় ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ট্রাম্প। সেখানে তার সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনায় ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টের। সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৭ শতাংশ। ট্রাম্পের পক্ষে মূলত ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের সমর্থন বেশি। ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন ৫৮ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে তার সমর্থন ৫৩ শতাংশ।

এ ছাড়া শ্বেতাঙ্গ ও স্কুলে পড়াশোনা করেননি এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও ট্রাম্পের সমর্থন বেশি। এ গ্রুপের ৬৩ শতাংশই ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। তবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বেশি সমর্থন রয়েছে অ্যারিজোনার পশ্চিমাঞ্চলে। সেখানে তার সমর্থন ৭৪ শতাংশ। এদিকে জর্জিয়ায় ট্রাম্প গত মাসে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। এবারও ৬৮২ জন ভোটারের মধ্যে জরিপে তিনি ৪ পয়েন্টে এগিয়ে। তার সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার সমর্থন ৪৫ শতাংশ। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

মতামত জরিপের ফলাফল নিয়ে যেসব খবর আসছে, তার তুলনায় নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে ওঠা নিয়ে চিন্তিত ডেমোক্র্যাট শিবির। যদিও অধিকাংশ জাতীয় জরিপে ধারাবাহিকভাবে কমলার এগিয়ে থাকার বিষয়টি দেখানো হচ্ছে, তারপরও তার কর্মী-সমর্থকদের মনে উদ্বেগ কমছে না। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে তার সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকার বিষয়টি বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলছে।

হোয়াইট হাউসে যেতে হলে এ তিন অঙ্গরাজ্যে জেতার কোনো বিকল্প নেই কমলার। কিছু জরিপে দেখানো হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় ৪ থেকে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা। কিছু জরিপে দেখানো হচ্ছে এ পার্থক্য সামান্য। মিশিগান ও উইসকনসিনে তাদের ব্যবধান খুব সামান্য। সেখানে কমলা ১ থেকে ২ পয়েন্টে এগিয়ে। ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, ২০১৬ সালে সব ধরনের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তিনি জিতেছিলেন। পরে ২০২০ সালে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে সামান্য ব্যবধানে হেরেছিলেন।

এর মধ্যেই নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা পোলের জরিপে সান বেল্ট অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত তিন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়া বাড়তি আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে প্রকাশিত এক জরিপে কমলা হ্যারিস জনসমর্থনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরও ছাড়িয়ে যান। সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কের জরিপে এমন চিত্র উঠে আসে। এতে দেখা যাচ্ছে, জনসমর্থনে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।

হ্যারিস এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার পর থেকে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা তার প্রতি বেশি অনুকূল মনোভাব দেখাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার পর থেকে হ্যারিসের বিষয়ে তাদের মনোভাব কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ইতিবাচক ছিলেন, কিন্তু জুলাইয়ে তা ৩২ শতাংশ ছিল। ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর থেকে এনবিসির করা রাজনীতিকদের রেটিংয়ে এটিই সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন।

অপরদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ট্রাম্পের বিষয়ে ইতিবাচক ছিলেন, জুলাইয়ে যা ৩৮ শতাংশ ছিল। নিউজ নেটওয়ার্কটি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের ১৩ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে আর এর ভুলের মাত্রা ৩ শতাংশ পয়েন্ট। সেপ্টেম্বরের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সিবিএসের চালানো জরিপে ৩১২৯ জন নিবন্ধিত ভোটার অংশ নেন আর তাতে হ্যারিস দুই শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।

আর এর আগে আগস্টে করা জরিপে দুই প্রার্থীর জনসমর্থন ৫০-৫০ শতাংশ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু দুই প্রার্থীর ১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কের পর থেকেই হ্যারিসের জনসমর্থন শুরু করে বলে জরিপে ধারণা পাওয়া গেছে। এসব ফলাফল সাম্প্রতিক অন্যান্য জাতীয় জরিপগুলোর সঙ্গেও ব্যাপকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেগুলোর মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের যৌথ জরিপও আছে। সবগুলো জরিপেই আভাস পাওয়া গেছে, ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

আগামী মাসে দ্বিতীয় আরেকটি নির্বাচনী বিতর্ক আয়োজনের জন্য চাপ দিচ্ছেন কমলা হ্যারিস। আগাম ভোট শুরু হয়ে যাওয়ার কথা বলে বিতর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কমলা বলেন, ‘এই নির্বাচন সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান সামান্যই হবে। কমলা ট্রাম্পকে আগামী ২৩ অক্টোবরের বিতর্কের প্রস্তাব গ্রহণ করার তাগাদা দেন। ১০ সেপ্টেম্বর এবিসির আয়োজনে প্রথমবার নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন কমলা ও ট্রাম্প।

সেই বিতর্কের পর সিএনএন থেকে ২৩ অক্টোবর আরেকটি টেলিভিশন বিতর্ক আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। নিউইয়র্ক সিটিতে রবিবার কমলার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে কমলা বলেন, তার রাজি হওয়া উচিত। কারণ, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে নির্বাচনের দিনের আগে আমেরিকার জনগণ ও ভোটারদের সঙ্গে আরেকবার মুখোমুখি হওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমাদের আরেকটি বিতর্ক করা উচিত। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তা এড়িয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজছেন।

কমলার এই বক্তব্যের আগের দিন নর্থ ক্যারোলাইনায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আরেকটি বিতর্ক আয়োজনের সমস্যা হলো, অনেক দেরি হয়ে গেছে। ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে, রবিবার কমলা সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, হাড্ডাহাড্ডি এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন আসতে এখনো এক মাসের বেশি সময় বাকি আছে। ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে কথার লড়াই বেশ জমে উঠেছে।

দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি ভ- বলে আখ্যা দিয়েছেন। জর্জিয়ার আটলান্টায় শুক্রবার নির্বাচনী সমাবেশে মূলত নারী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কমলা হ্যারিস বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং  তার দল গর্ভপাত নিয়ে ‘ভ-ামি’ করছেন। নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জর্জিয়ায় সম্প্রতি গর্ভধারণ-সংক্রান্ত জটিলতায় দুজন নারীর মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুর জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেন কমলা।

যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ, জর্জিয়া তার একটি। সমাবেশে কমলা বলেন, ‘এই ভ-রা এমনভাবে কথা বলতে চান যে এটার মধ্যে (গর্ভপাত ইস্যু) নারী ও শিশুদের সেবার সর্বোত্তম স্বার্থ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভালো কথা, যখন আমেরিকার নারী ও শিশুদের সেবা-যতœ নিয়ে কথা বলার সময় আসে, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। দুই মাস আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালে সামনে চলে আসেন কমলা। পরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনী প্রচার শুরু থেকেই কমলা গর্ভপাত প্রসঙ্গটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বারবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘ট্রাম্প গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা’। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্যে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। জর্জিয়ায় গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জর্জিয়া থেকে দোদুল্যমান রাজ্য উইসকনসিনে যান কমলা। সেখানে শুক্রবার রাতে ম্যাডিসনে এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা পুনরায় একই প্রসঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইনকে ‘অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেন।

×