ইসরাইলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
ইসরাইলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার। ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখ-ে ইসরাইলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪১ হাজার ২৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। খবর আলজাজিরার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ১০ হাজার ৮৮৮ শিক্ষার্থী নিহত এবং ১৭ হাজার ২২৪ জন আহত হন। একই সময়ে পশ্চিমতীরে ১১৩ শিক্ষার্থী নিহত এবং ৫৪৮ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া পশ্চিমতীর থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গাজায় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখ-ে তার নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখ-ের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
