ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

কোনো অস্ত্রই ইউক্রেনকে বিজয়ী করতে পারবে না-পেন্টাগন

ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর হুমকি পুতিনের

প্রকাশিত: ২১:৫০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর হুমকি পুতিনের

.

রুশ ভূখন্ডে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমোদন দেওয়ার অর্থ হবে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানো। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর উদ্দেশ্যে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট øাদিমির পুতিন। এদিকে, পুতিনসহ রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আইসিসি প্রসিকিউটরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলেনস্কি।

রুশ হামলা প্রতিহতে দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়িয়ে আসছে আমেরিকা মিত্ররা। এরমধ্যে আছে অত্যাধুনিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব অস্ত্র সরাসরি রুশ ভূখন্ডে ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আসছে ইউক্রেন। বিশেষ করে অ্যাকাট এমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছেন জেলেনস্কি। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত আমেরিকা যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে এই অনুমতি দিয়েছে।

এই খবর প্রকাশের পরই রুশ প্রেসিডেন্ট ন্যাটোকে এই সতর্কবার্তা দিলেন। øাদিমির পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা অনুমতি দেয়, তাহলে এর অর্থ হবে ন্যাটো দেশগুলো, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ জড়িয়ে পড়বে। যদি তাই হয়, তবে সংঘাতের ধরনের পরিবর্তন বিবেচনায় নিয়ে আমরা যে হুঁশিয়ারির মুখোমুখি হবো তার ভিত্তিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেব।

ইউক্রেনকে দেওয়া ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ১৫৫ মাইল দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। ইউক্রেন এখন পর্যন্ত যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে স্টর্ম শ্যাডোর পাল্লা তার প্রায় তিনগুণ। এছাড়া, আমেরিকা ইউক্রেনকে অ্যাকাট এমএস দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে, যার প্রায় ১৯০ মাইল দূর পর্যন্ত হামলা চালাতে পারে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলে মস্কো প্রতিক্রিয়ায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় এখনো অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এদিকে গত মাসের শুরুর দিকে সীমান্তবর্তী কুুুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে রাশিয়ার বেশকিছু এলাকা দখলে নিয়ে চমক দেখায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। সম্প্রতি সেসব এলাকা দখলমুক্ত করতে  রুশবাহিনী বড় ধরনের পাল্টা অভিযান শুরু করেছে বলে রুশপন্থি সামরিক ব্লগাররা দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিশ্চিত করেছেন। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের অধিকৃত এলাকায় ব্যাপক লড়াই চলছে এবং রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় সেনাদের হাত থেকে সম্ভবত কিছু গ্রামও পুনরুদ্ধার করেছেন বলে ইউক্রেনপন্থি পর্যবেক্ষকেরাও জানিয়েছেন।

কোনো অস্ত্রই ইউক্রেনকে বিজয়ী করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) জানিয়েছে, কোনো ধরনের অস্ত্রই ইউক্রেনের সরকারকে চলমান সংঘাতে বিজয়ী করতে পারবে না। শুক্রবার পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট্রিক রাইডার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কথা জানান।

রাইডার সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমি আপনাদের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের গত সপ্তাহে রামস্টেইন এয়ার বেজে দেওয়া মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এমন কোনো সক্ষমতা বা কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই, যা ইউক্রেনকে সাফল্য এনে দেবে। তিনি জানান, ওয়াশিংটনের মতে, ইউক্রেনের উচিত বর্তমানে তাদের কাছে থাকা সক্ষমতাগুলোই (অস্ত্র) এমনভাবে ব্যবহার করা, যাতে তাদের আলোচনার টেবিলে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হয়।

×