ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ছে রাশিয়া-চীন, আগ্রহী ভারত

প্রকাশিত: ২১:২৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ছে রাশিয়া-চীন, আগ্রহী ভারত

পুতিন, নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটম চাঁদে একটি ক্ষুদ্র পরমাণু চুল্লি স্থাপনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই চুল্লি আধা মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে যা ভবিষ্যতের চন্দ্রবসতির জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে। তবে রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ভারতও এই প্রকল্পে যোগদানের সুযোগ খুঁজছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
রোসাটমের প্রধান আলেক্সেই লিখাচেভ জানান, চীন ও ভারত উভয়েই এই চন্দ্র বিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। লিখাচেভ বলেন, আমাদের কাছে একটি নতুন সমাধান চাওয়া হয়েছে, যা চাঁদে আধা মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা। আমাদের চীনা ও ভারতীয় অংশীদাররা এতে খুবই আগ্রহী। এদিকে ভারত সরকার কিংবা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এখনো এই প্রকল্পে তাদের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চাঁদে ভবিষ্যতের স্থায়ী ঘাঁটিগুলোর জন্য স্থায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। পরমাণু বিদ্যুৎ সৌরশক্তির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। কারণ চাঁদের দীর্ঘ ১৪ দিনের রাতের সময়ে সৌর প্যানেলগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ দীর্ঘমেয়াদি মানব উপস্থিতি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২১ সালের মার্চ মাসে রাশিয়ার রোসকসমস এবং চীনের সিএনএসএ আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন (আইএলআরএস) নির্মাণে যৌথ সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর অংশ হিসেবে চীন তিনটি মিশন চ্যাং’ই ৬, চ্যাং’ই ৭ ও চ্যাং’ই ৮ পরিচালনা করবে। যা ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে রোবটিক ঘাঁটির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পরীক্ষার কাজ শেষ হবে।

×