ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

মাঙ্কিপক্সের উচ্চ ঝুঁকিতে অভিবাসী, শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৫ আগস্ট ২০২৪

মাঙ্কিপক্সের উচ্চ ঝুঁকিতে অভিবাসী, শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতরা

অভিবাসন কেন্দ্রগুলোতে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি

অভিবাসন কেন্দ্রগুলোতে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম। আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে এই রোগে শিকারদের সহায়তায় এক কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণার পর আইওএম জানিয়েছে, অভিবাসী সম্প্রদায়, যাদের সংঘাতসহ নানা কারণে স্থানান্তরিত হতে হচ্ছে, তারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আইওএম’র মহাপরিচালক এমি পোপ বলেন- পূর্ব আফ্রিকা, হর্ন অব আফ্রিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ গভীর উদ্বেগের ব্যাপার। বিশেষ করে অরক্ষিত অভিবাসী, ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী এবং বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় প্রায়ই এ ধরনের সংকটের সময় উপেক্ষিত হয়।

অপর্যাপ্ত জীবনমান এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা বৈশ্বিক জরুরি পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের সংকট বাড়িয়ে তোলে বলে মনে করে আইওএম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে অর্থোপক্স ভাইরাস হিসেবে বর্ণনা করেছে। এর লক্ষণ স্মলপক্সের মতোই, তবে তুলনামূলকভাবে কম মারাত্মক। প্রাণী থেকে মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মম-লীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলগুলোতে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। 
কাঠবিড়ালি, ইঁদুর, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহে এই ভাইরাস দেখা গেছে। ভাইরাসটি মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে। শারীরিক তরল, ত্বকে, মুখে বা গলায় থাকা ক্ষত, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নির্গত ফোঁটা এবং দূষিত বস্তুর মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ছড়াতে পারে। এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, গা ব্যথা, লম্প নোড ফুলে ওঠা, ফুসকুড়ি এবং ব্যাক পেইন। আফ্রিকা এবং এর বাইরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। উগান্ডায় দুইজন মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ক্লেড ১বি ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। -এএফপি

×