পোল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিড়
অভিবাসী বা অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড। অভিবাসীদের ওপর গুলি চালাতে সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। পোল্যান্ড বলছে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্র রাষ্ট্র পোল্যান্ডকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য বেলারুশ ও রাশিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষত ২০২২ সালে বেলারুশ থেকে ব্যাপক সংখ্যায় অভিবাসন প্রত্যাশী বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করছে। খবর এএফপির।
এসব অভিবাসীকে ঠেকাতে পোল্যান্ড তার সীমান্তে ধাতব বেড়া নির্মাণ শুরু করে যার কাজ গত বছর সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে লোকজনের অবৈধ প্রবেশ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু সীমান্ত পার হওয়ার কিছু ঘটনা এখনো ঘটছে। সেই সংখ্যা আরও কমাতে এবার অভিবাসীদের ওপর অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। আরটির এক প্রতিবেদন মতে, পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা একটি আইন প্রণয়ন করেছেন যা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের অস্ত্রের ব্যবহার আরও বিস্তৃত করবে। এই আইনের ফলে অভিবাসী নিয়োগের ওপর গুলি চালালেও তাদের অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
গত ১৪ আগস্ট পোল্যান্ড সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করে। আর এদিনই দুদা ‘অ্যাক্ট অন সাপোর্ট ফর দ্য অ্যাকটিভিটিজ অব সোলজার্স অ্যান্ড অফিসার্স’ শীর্ষ আইনটি অনুমোদন করে। পরদিন ১৫ আগস্ট প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান মালগোরজাটা পাপরোকা আইনটির বিষয়টি জানান। নতুন আইনটি সামরিক বাহিনীকে শান্তিকালীন সময়ে দেশের অভ্যন্তরে অভিযানে অংশ নেওয়া এবং এমন পরিস্থিতিতে সেনাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেবে। অবশ্য আগে থেকেই অভিবাসীদের ওপর গুলি চালিয়ে আসছে পোলিশ সীমান্তরক্ষীরা। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেই বিষয়টির স্বীকৃতি দেওয়া হলো।