সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রুশ সেনারা
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে ইউক্রেনের বিরল হামলার মুখে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনীয় হামলা মোকাবিলা করছে। যুদ্ধ শুরুর পর রুশ সীমান্তের ভেতরে ইউক্রেনের এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত তিনদিনে রুশ বাহিনী ৬৬০ ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং ৮২টি যুদ্ধযান ধ্বংস করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর এএফপি ও বিবিসির। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ছয় শিশু রয়েছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। মস্কো জানিয়েছে, বুধবার সকালে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা, ১১টি ট্যাঙ্ক এবং ২০টিরও বেশি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান সুডজা শহরের কাছ দিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছিল। বুধবার কয়েকটি গ্রামে লড়াই হওয়ার কথা জানা গেছে। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল না করার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে সেখানে সব ধরনের জনসমাবেশও বাতিল করা হয়েছে। কুরস্কে কয়েকটি বিমান সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত ফুটেজে যুদ্ধবিমানগুলোকে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে। এ সময় স্থলভাগ থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা যায়।
বিবিসি এই ফুটেজগুলো যাচাই করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ ভূখ-ে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশ অত্যন্ত বিরল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সুডজা শহরের উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়। শহরটি মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণের দিকে ইঙ্গিত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভ সরকার একটি বড় প্ররোচনা শুরু করেছে। রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, রুশ বাহিনী এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছে এবং তাদের সীমান্তে ফেরত পাঠাবে।