ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার দাবি হামাসের

গাজায় যুদ্ধাপরাধ

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৬ জুলাই ২০২৪

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার দাবি হামাসের

.

গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। দেশটির বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণের সুযোগ দেওয়ারও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। খবর আনাদোলু অনলাইনের।

নেতানিয়াহুকে আমেরিকান কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সুযোগের নিন্দা করে হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মূলত নেতানিয়াহু বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার সেই ভাষণের সময় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটের প্রায় অর্ধেক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন এবং অপরাধের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন। পরে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এবং গাজায় গণহত্যা জাতিগত নিধনযজ্ঞ ঢেকে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে নেতানিয়াহুকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল এবং তাকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর বক্তৃতা তার সামরিক, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংকটের গভীরতাই প্রতিফলিত করেছে। হামাস নেতানিয়াহুকে রাফা এবং নুসেইরাতের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিতভয়াবহ গণহত্যাউপেক্ষা করার পাশাপাশি অনেক বন্দিকে মুক্ত করার মতো মিথ্যা বিজয়ের দাবি করার বিষয়েও অভিযুক্ত করেছে।

নেতানিয়াহু সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করেন। ছাড়া ইসরাইলে ফেরার আগে শুক্রবার ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার। মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন। এদিন ক্যাপিটল হিলের বাইরে এবং শহরটির বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করে। নারীসহ বহু বিক্ষোভকারীকে জোরপূর্বক আটকের ঘটনাও ঘটে। পুলিশের নির্যাতন উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুকে খুনি মিথ্যুক বলে সেøাগান দেয়।

×