ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৮

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৪ জুলাই ২০২৪

কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৮

বুধবার কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সুরিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারাগামী ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পরই বিধ্বস্ত হয়। তবে  বেঁচে গেছেন পাইলট। খবর বিবিসি ও কাঠমান্ডু পোস্ট অনলাইনের। 
নেপালের সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন বিমানটিতে দুজন ক্রু এবং ১৭ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উত্তর দিকের অংশে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ‘বার্ষিক মেনটেন্স কর্মসূচির কাজ নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল। জ্ঞ্যানেন্দ্র ভুল আরও বলেন, সুরিয়া এয়ারলাইন্সের ছোট একটি বিমান উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে ছিটকে পড়ে  আগুন লেগে যায়। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কার্কি বলেন,  ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন পাইলটকে শুধু জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তিনি বলেন, ‘যে পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনি চোখে এবং কপালে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। 
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রধান অর্জুন চাঁদ ঠাকুর বলেন, বিমানের যাত্রী ১৭ জন প্রকৌশলী কিছু তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে পোখারা যাচ্ছিলেন। টেলিভিশনের ফুটেজে দমকল বাহিনীর কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কু-লী আকাশে উঠতে দেখা গেছে। অর্জুন চাঁদ ঠাকুর আরও বলেন, বিমানটি ছিটকে পড়ে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের রানওয়েচ্যুত হয়ে পাশের একটি মাঠে গিয়ে পড়লে এটিতে আগুন ধরে যায় ও বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধারকাজে নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।কাঠমান্ডুর পুলিশ কর্মকর্তা দিনেশ রাজ মৈনালি বলেন,আমরা  বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে খবরটি পাই। দগ্ধ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা পাইলটকে চিকিৎসার জন্য কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া হয়েছে। সুরিয়া এয়ারলাইন্স মূলত নেপালের অভ্যন্তরীণ সেক্টরে বিমান সেবা দিয়ে থাকে।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড ॥ নেপালে বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড ভাল নয়। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ২০১৮ সালের মার্চে নেপাল থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভেঙে পড়লে ৫১ জন যাত্রী প্রাণ হারান। ২০০০ সাল থেকে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ছিল ১৯৯২ সালে যখন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৬৭ জন যাত্রী।
সর্বসম্প্রতি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ জন প্রাণ হারান। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। সেই সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এটিআর ৭২ মডেলের দুই ইঞ্জিনের বিমানটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের ১৫ জনই ছিলেন বিদেশী নাগরিক। বাকি চারজন ছিলেন বিমানটির কর্মী।

×