ইসরাইলি সেনাদের লেলিয়ে দেওয়া কুকুরের কামড়ে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনি তরুণ মোহাম্মদ বাহার
গাজায় হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি সেনাদের লেলিয়ে দেওয়া কুকুরের আক্রমণে এক ফিলিস্তিনি তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া মোহাম্মদ বাহার ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি কোনো রকম কথা বলতে বা নিজের কাজ করতে পারতেন না। গাজা উপত্যকার সুজাইয়াতে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। খবর আলজাজিরার।
মোহাম্মদ বাহারের মা নাবিলা আহমেদ মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত ২৭ জুন থেকে সুজাইয়াতে ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক হামলা চালায়। ওইদিন থেকে নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন তারা। কিন্তু একদিন তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় ইসরাইলিরা। এসেই প্রথমে একটি কুকুরকে বাড়ির ভেতরে ছেড়ে দেয়। ওই কুকুরটি মোহাম্মদকে কামড়ে ধরে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও মোহাম্মদকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ সময় সেনারা বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তাকে আলাদা একটি রুমে নিয়ে যায়।
এদিকে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই গোষ্ঠীর সব আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির অতি ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির জন্য এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি অঙ্গীকারমূলক সম্মেলনে জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস দাতাদের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানানোর পর সংস্থাটি জানায়, গাজায় যুদ্ধ বিধ্বস্তদের সহায়তার জন্য সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএর কিছু সংখ্যক কর্মচারী হামাসের হামলায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে জানুয়ারিতে ইসরাইলি অভিযোগের পর কয়েকটি দেশ অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় আমরা এজেন্সির ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে অংশীদারদের সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। হামাসের লেবানন রাজনৈতিক অফিসের প্রধান নেতা আহমাদ আব্দুল-হাদি এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুদ্ধের শুরুর সময়ের চেয়ে এখন ভালো অবস্থানে আছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।