ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১০ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ১৪:১২, ১০ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিককে নগরমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার দলীয় নতুন সরকার

যুক্তরাজ্যের সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী ৪ বারের সাংসদ টিউলিপ সিদ্দিককে দেশটির নগরমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টানা চতুর্থবারের মতো লেবার দলীয় এমপি হিসেবে নির্বাচিত টিউলিপকে মঙ্গলবার মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 

নগরমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের আর্থিক পরিষেবা খাত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবেন। গত ৪ জুলাই ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে লেবার পার্টি। দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন।দেশটির রাজধানী লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন টিউলিপ। নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী ডন উইলিয়ামসের চেয়ে ৮ হাজার ৪৬২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

২০১৫ সালে প্রথম হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন টিউলিপ। সেবারই প্রথম হাউস অব কমন্সে তার প্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে জয় পান তিনি। ওই বছর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১ হাজার রাজনীতিবিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল।

২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অব ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টের ‘দ্য সিটি’ নামে পরিচিত আর্থিক পরিষেবা শিল্পের নীতি তৈরিতে লেবার পার্টির নেওয়া পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ৪১ বছর বয়সী সিদ্দিক।

এর আগে, লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল সিটির ছায়া মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ সালে লেবার পার্টির শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন টিউলিপ।

এছাড়াও লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন নেতত্বাধীন প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্যও ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক।টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন তিনি। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন।

বারাত

×