ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল।
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল। তিনি বলেছেন, তার দল পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সোমবার প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগের প্রস্তাব দেবেন। খবর এএফপির।
তিনি বলেন, যদি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হয় তবে যত দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে প্রয়োজন হবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেশটিতে প্যারিস অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনার মত ক্যান্সারের টিকা আশা দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
তবে দেশটির নতুন সরকার নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে কারণ কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। দেশটিতে প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। আনুষ্ঠানিক ফলাফল থেকে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থীদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই) জয়ী হয়েছে এবং পার্লামেন্টে তারাই সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী এসেম্বল জোট দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এবং আরএন পার্টি এখন তৃতীয় অবস্থানে সরে গেছে। রোববারের এই ভোটে কট্টর-ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালিকে ঠেকাতে একজোট হয়ে লড়েছে বামপন্থি জোট দলগুলো।
প্রথম দফার ভোটে ডানপন্থিদের জয়ে উদার ও মধ্যপন্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। আরএন যেন দ্বিতীয় দফায় জয়ী হতে না পারে সেজন্য বামপন্থী জোট এবং ম্যাক্রোঁর জোটের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই দুই জোট মিলে দুই শতাধিক প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেয়। আরএনের বিরুদ্ধে পড়া ভোটগুলো যেন একজনই পান সেজন্যই বাম ও মধ্যপন্থিদের এই কৌশলই শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে।
তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ দেশটিতে তিন দলের একসঙ্গে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
গত ৩০ জুন দেশটির প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থিরা প্রথম ধাপের নির্বাচনে কখনোই জয়লাভ করতে পারেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম কোনো ডানপন্থি দল প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছে। সরকার গঠনের ব্যাপারেও তারা বেশ আশাবাদী ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফার নির্বাচন সবকিছু উল্টে গেছে।
তাসমিম