ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

কেমন হতে পারে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র নীতি?

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৬ জুলাই ২০২৪

কেমন হতে পারে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র নীতি?

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমা

লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।   প্রশ্ন উঠেছে কেমন হতে পারে একটা সময় কট্টোর বাম রাজনীতি করে আসা এই রাজনীতিকের পররাষ্ট্র নীতি। 

 সে বিষয়ে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বরাবরই উষ্ণ সম্পর্ক যুক্তরাজ্যের। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে স্টারমার জানিয়েছেন, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জয়ী হোন না কেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন তিনি। লেবার পার্টির এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে’।

স্টারমার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একক বাজার বা কাস্টমস ইউনিয়নে পুনরায় যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে তার দল বলেছে যে কিছু বাণিজ্য বাধা অপসারণ করা এখনো সম্ভব, বিশেষত ছোট সংস্থাগুলোর জন্য।

যুক্তরাজ্য চলতি বছর ইউক্রেনকে ৩০০ কোটি পাউন্ড ( ৩৮০ কোটি ডলার) সামরিক সহায়তা দেবে। লেবার পার্টির দলীয় ইশতেহারে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের সামরিক, আর্থিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন অবিচল থাকবে।

স্টারমার জানিয়েছেন, তিনি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চান। তবে তিনি এও বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের পদক্ষেপ সঠিক সময়ে আসতে হবে।

লেবার পার্টি তাদের ইশতেহারে বলেছিল, আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলে একটি টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরাইলসহ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হবে। সেইসঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিসহ সমস্ত জিম্মি মুক্তি ও গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চায় লেবার পার্টি। এ সংঘাতের সমাধানের পক্ষে ব্রিটেন।

এদিকে হামাস ইসরাইল সংঘাত ইস্যুতে গত বছর নভেম্বরে গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন স্টারমার।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়ানোর প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ রয়েছে। সেসময় তিনি ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দেননি।

লেবার পার্টির এই নেতা আরও বলেন, ইসরায়েলসহ প্রতিটি দেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে যথাযথভাবে জবাবদিহি করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা উচিত কি না, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি।

লেবার পার্টি বলেছে, তারা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত পদ্ধতি নিয়ে আসবে।

সূত্র: আল জাজিরা

তাসমিম

×