আস্তানায় সম্মেলনের ফাঁকে এরদোয়ানের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এদিন তিন নেতা নিয়মিতভাবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) জোটের তত্ত্বাবধানে মিলিত হন। যার সর্বশেষ অধিবেশন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হয়। খবর আরটির।
এদিন এরদোয়ান পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে এরদোয়ান ইউক্রেনে উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ জানান। তুর্কি নেতা যুদ্ধরত দেশগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন। পুতিন মূল অধিবেশনের প্রাক্কালে এরদোয়ান এবং শির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। চীনা নেতাকে পুতিন বলেন, সাংহাই জোট একটি ন্যায্য বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসাবে তার ভূমিকাকে শক্তিশালী করছে।
রাশিয়া ও চীন উভয় দেশ বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বকে আধিপত্য বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। মস্কোর প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের জন্য পশ্চিমে সমালোচিত শি পুতিনকে বলেছেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে আবার দেখতে পেরে আনন্দিত।
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ব্লকের সঙ্গে একটি সংলাপ অংশীদার হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দেন। সংস্থার পূর্ণ সদস্য সাবেক সোভিয়েত মধ্য এশিয়ার দেশগুলো, ভারত, চীন, রাশিয়া এবং ইরান। এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি প্রাধান্য পেয়েছে। এর নয়টি পূর্ণ সদস্য দেশ হল চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।
এটি নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির ওপর ফোকাসসহ পশ্চিমের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার উদ্দেশ্যে এই সংস্থা গঠিত হয়েছে। পশ্চিমা-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান এ বছর পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেয়। বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো কাজাখ মিডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বের কাছে প্রদর্শন করার জন্য যে বিকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, ক্ষমতার বিভিন্ন কেন্দ্র রয়েছে তার জন্য জোটের প্রশংসা করেছেন।
