ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

নাফিসা আজাদের সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘অংস্কুরের মূর্ছনা’য় মুগ্ধ সিডনিবাসী

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ১ জুলাই ২০২৪

নাফিসা আজাদের সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘অংস্কুরের মূর্ছনা’য় মুগ্ধ সিডনিবাসী

কণ্ঠশিল্পী নাফিসা আজাদ।

সিডনি প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী নাফিসা আজাদের সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় ক্যাম্পবেলটাউন আর্ট সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।

নাফিসা অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ও প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত বাবা আজাদ রহমানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। গানের প্রতিটা পর্বে আগেই শিল্পী উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে গানগুলো সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি গেয়ে চলেন বাবা আজাদ রহমান, বোন রুমানা আজাদ সহ অন্যান্য সুরকারের গান।
 
গানগুলোর মধ্যে- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, আধো ধরণী আলো, লাগে না মন,বাদল বরিষণে তারে মনে পরে, আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে, ওলো সই ওলো সই, কি লিখি তোমায়, না যেওনা না যেওনা রজনী এখনও বাকি, আকাশ ভাঙে শ্রাবণ ধারায়, মেঘ ভাঙে বরষায়, শুধু তোমায় ভেবে ভেবে কত দিন রাত গেছে বয়ে, নিঠুর মনোহর আমার বন্ধু চিকন কালিয়া দেইখো আসিয়া, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে, আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম, একটি-দু'টি ঘুমের গল্প টুকরো অভিমান ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা-কালো স্বপ্নবতী গান। 

গানের বিরতির সময় মা ও সংগীত শিল্পী সেলিনা রহমান ও বোন রোজানা আজাদ নাফিসা আজাদের পাশে মঞ্চে আসেন। সেলিনা আজাদ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপস্থিত অতিথিদের বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা পড়ালেখার পাশাপাশি প্রয়াত বাবা প্রখ্যাত সুরকার আজাদ রহমানের উত্তরাধিকার হিসেবে সঙ্গীত ধরে রেখেছেন এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই নাই আমার। আমার বড় মেয়ে রুমানা আজাদ অস্ট্রেলিয়াতে একজন ডাক্তার হিসেবে কাজ করছে কিন্তু গানের সুরকার হিসেবে বাবার কাজের ধারাবাহিকতার চর্চা ধরে রেখেছে। মেঝো মেয়ে রোজানা আজাদ ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটিতে কাজ করছে কিন্তু সঙ্গীতের সাথেও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ছোট মেয়ে আপনাদের সামনে গান পরিবেশন করছে। সেও নিউ সাউথ ওয়েলসের সরকারি কাজ করছে। আমাদের মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন আপনারা।’
 
সিডনিতে নতুন প্রজন্মের তরুণ শিল্পী নীলাদ্রি একক গানে অংশ নেয়। একক সংগীতের মধ্যে জোরোয়ার ঝুমকা থেকে, কেউ বলে ফাল্গুন, দ্বৈত গানের মধ্যে দাঁড়ালে দুয়ারে মোর কে তুমি ভিখারিনী গানগুলো পরিবেশন করে। প্রয়াত পাঁচজন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের কণ্ঠে গাওয়া কিছু গান পরিবেশন করেন। শাহনাজ রহমতুল্লার সাগরের কণ্ঠে গাওয়া 'সৈকতে, কে যেন দূর হতে, আমারে ডেকে ডেকে যায় আয়'  সঙ্গীত শিল্পী ফেদদৌসী রহমানের 'গান হয়ে এলে, মন যেনো বলে, সারা বেলা এত সুর নিয়ে', সঙ্গীত শিল্পী আনজুমান আরা বেগমের' আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, বাতাসের আছে কিছু গন্ধ', প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গান 'তুমি চোখের আড়াল হও কাছে কিবা দূরে রও', সংগীত শিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া গানের মধ্যে 'শেষ করো না শুরুতে খেলা, না, ভেঙো না'।

বাবা আজাদ রহমানের সুর করা গানের মধ্যে 'জন্ম আমার ধন্য হলো, মাগো এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো', 'মনের রঙে রাঙাবো বনের ঘুম ভাঙাবো'। অনুষ্ঠানের শেষ গানটি পরিবেশন করেন প্রখ্যাত ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর 'সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম' গানটি গেয়ে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতীতির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত সঙ্গীত শিপ্লী সিরাজুস সালেকিন, ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। তবলায় ছিলেন অভিজিৎ দান, গীটারে সোহেল খান ও কি বোর্ডে নিলাদ্রী।

এম হাসান

×