ফ্রান্সে নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো কট্টর ডানপন্থিরা ক্ষমতার খুব কাছে রয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ছোট শহরগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায় এবং বড় শহরগুলোতে সন্ধ্যা ৬টায়। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুই পর্বের এ পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৭ জুলাই। ৫৭৭টি আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কোন দলকে অন্তত ২৮৯টি আসনে জিততে হবে। খবর এএফপির।
এবার আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হবে বলে বিশ্বাস জগদান বাগদেলার। এমন কিছু হলে তিনিই হবেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে এমন কিছু হবে কিনা তার জন্য পরবর্তী পর্বের ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রথমবারের মতো নির্বাচন পূর্ব সব জরিপে এগিয়ে ছিল ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থিরা। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইতিহাস গড়ার আশা করছে তারা। বুথ ফেরত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে অভিবাসন বিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাকারী কট্টর ডানপন্থি নেতা মারিন লু পেনের এবং জগদান বাগদেলার দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রথম কোনো ডানপন্থি দল হিসেবে সম্ভবত ফ্রান্সের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে তারা।
জনমত জরিপ বলছে আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তারা মোট ভোটের ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ পেতে পারে। আর নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর মধ্যপন্থী দল পেতে পারে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট। আগাম এই নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ মাক্রোঁর মিত্ররা। কারণ স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৭ সালের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থিদের অগ্রগতিতে শঙ্কিত হয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব রক্ষা করতেই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন মাক্রোঁ।
