ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

ছয়দিনে ৫৬৮ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৭ জুন ২০২৪

পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাকিস্তান

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাকিস্তান। আর তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ছয়দিনে দেশটিতে ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের ইধি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানায়, তারা প্রতিদিনই করাচির মর্গে ৩০ থেকে ৪০টি মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে। গত ছয়দিনে তারা ৫৬৮টি মরদেহ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মঙ্গলবারই তারা ১৪১টি মরদেহ সংগ্রহ করেছে। খবর বিবিসির।
করাচীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভব হচ্ছে। তীব্র গরমের কারণে মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটছে। করাচির সিভিল হাসপাতালে গত রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ। এর মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডা. শেখ বলেন, যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর। যদিও তাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ বছরের আশপাশের কয়েকজন এবং এমনকি ২০ বছর বয়সীও রয়েছে। যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের বমি, ডায়রিয়া এবং উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ঠিক কী তা এখনই বলা সহজ নয়। তিনি বলেন, যারা ঘরের বাইরে কাজ করছেন তাদের অনেকেই ডায়রিয়া বা তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন, আবার কারও কারও বমি হচ্ছে।

লোকজনকে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে এই তীব্র তাপমাত্রায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং হালকা কাপড় পরতে হবে। জনসাধারণকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ কেন্দ্র এবং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, শিশুরা ঝরনায় খেলা করছে। অনেকেই গরম থেকে বাঁচার জন্য বারবার পানি গায়ে দিয়ে ঠান্ডা থাকার চেষ্টা করছেন। মোহাম্মদ ইমরান নামের একজন রয়টার্সকে বলেন, আমার জামাকাপড় পুরোপুরি ঘামে ভিজে গেছে। ঠান্ডা থাকার জন্য তিনি বেশ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সাহায্যের প্রয়োজন আছে এমন সবাই হাসপাতালে পৌঁছাতেও পারেননি।

×