ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জয় পেলেন মোদির সমালোচনা করে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৪ জুন ২০২৪

জয় পেলেন মোদির সমালোচনা করে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া

মহুয়া মৈত্র।

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই এমপি পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তবে লোকসভা ভোটে লড়াই করে আবার সংসদে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করলেন মহুয়া মৈত্র। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়েছেন মহুয়া। জয় ঘোষণার পরেই তিনি বলেন, নিজের জয়ের থেকেও বেশি খুশি, বিজেপি নামক এই অশুভ শক্তি, মোদির মতো অযোগ্য প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারতে রাজ করেছেন ১০ বছর, তার বিরুদ্ধে আজকের ভোট হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কুর্নিশ জানাই।

মহুয়া একা নন, বিরোধীদের কণ্ঠে একই সুর। তাদের দাবি, ‘মোদি ম্যাজিক’-এ ধস নেমেছে। এক দশক পরে আবার একদলীয় শাসনের ইতি হতে চলেছে ভারতে। সেই সঙ্গে অষ্টাদশ লোকসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতার পদ। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ভোটের ফলের প্রবণতা এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। তবে ভোট গণনার প্রবণতা বলছে ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার আর সংসদের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না তার দল বিজেপি। ‘৪০০ পার’ দূর, আড়াইশো পার করাও কঠিন হতে চলেছে বিজেপির। ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি। প্রবণতা অনুযায়ী বিজেপির দৌড় দেড়শোর আগেই থেমে যেতে পারে।

একটি বিষয় স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী হলেও আগের মতো আর ‘শক্তিশালী’ হবে না মোদি সরকার। কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএর দুই শরিক, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের ওপর।

বিলিওনিয়ার গৌতম আদানিকে সম্বোধন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহুয়া লিখেছিলেন, মিস্টার আদানি, মহুয়ার টিকিট কাটা যাবে এ কথা সবাইকে বলে নিজের সময় নষ্ট করবেন না। আমি কৃষ্ণনগর থেকেই দাঁড়াব, আমার জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ হবে। তবে ব্যবধান গতবারের থেকে কমলেও তিনি জয়ী হয়েছেন।

 

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×