ফিলিপিন্স ও ভ্যাটিকান সিটি
বিচ্ছেদ তিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হলেও অনেকের কাছে ডিভোর্স একমাত্র সমাধানের পথ। নানা কারণে দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দিতে পারে। ফলে সংসার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না অনেক সময়। আর এজন্য দেশে দেশে রয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ আইন। তবে ব্যতিক্রম ফিলিপিন্স ও ভ্যাটিকান সিটি। দেশ দুটিতে আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ।
ভ্যাটিকান ধর্মীয় রাষ্ট্র হওয়ায় বিষয়টি স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হলেও এশিয়ার দেশ ফিলিপিন্সের এমন আইন অবাক করার। এমনকি দেশটির দম্পতিদের একটা বড় অংশের প্রতিবাদের পর আইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ফিলিপিন্সের সরকার।
ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং এর বিকল্পও থাকা উচিত। প্রেসিডেন্টের এই ভাবনা থেকে ফিলিপিন্সে বিবাহ বিচ্ছেদের আইন পাস হতে যাচ্ছে।
ফিলিপিন্সের পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আইন করতে একটি বিল পাস করেছে। আগামী আগস্টে বিলটি উচ্চকক্ষ সিনেটে উত্থাপন করা হবে। এরপর প্রেসিডেন্টের সম্মতিসূচক সইয়ের শেষে আইনে পরিণত হতে।
নতুন এই বিলের লেখক ও পার্লামেন্টের প্রতিনিধি এডসেল ল্যাগম্যান বলেন, ভ্যাটিকান ছাড়া বিশ্বের একমাত্র দেশ ফিলিপিন্স, যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ এখনো বেআইনি। এটি এই দেশের ঐতিহ্য। তবে যেসব ফিলিপিনো নারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, যারা পারিবারিক সহিংসতার শিকার, যাদের বিয়ের কার্যত মৃত্যু হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য নতুন আইন তৈরি হচ্ছে। এই আইন বিয়ে এবং সামাজিক সম্পর্ক সম্বন্ধে ফিলিপিন্সে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরবে বলে মনে করেন ল্যাগম্যান।
বিবাহ বিচ্ছেদের এই আইন তৈরির চেষ্টা ফিলিপিন্সে নতুন নয়। ২০১৮ সালে এমন একটি বিল নি¤œকক্ষে পাস হলেও উচ্চকক্ষে পাস করা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ফিলিপিন্সের রোমান ক্যাথলিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট জনসংখ্যার ৭৮.৮%। দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশের ধর্মীয় ভাবনা এই আইন পাস বাধাগ্রস্ত করছে। - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।