মালদ্বীপ। ফাইল ছবি।
বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ বন্ধ করেছে মালদ্বীপ। বুধবার (২২) দেশটির দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মালদ্বীপের বর্তমান আইন অনুযায়ী এক দেশ হতে এখানে এক লক্ষ কর্মী কাজ করতে পারে। সে প্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ওয়ার্ক ভিসা প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হাই কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের কোটা বাড়ানো এবং আবার ভিসা চালু করার বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এছাড়াও মনে রাখতে হবে ফ্রী ভিসা বলতে কিছু নাই। আপনি যেই কোম্পানির ভিসা পেয়েছেন আপনাকে সেখানে কাজ করতে হবে। এই আইন ভঙ্গ করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আপনাকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করে দেশে ফেরত প্রেরণ করা হতে পারে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু অদক্ষ শ্রমিককে এ কারণে গ্রেফতার করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাই এখন যারা এদেশে কর্মরত আছেন এবং ভবিষ্যতে মালদ্বীপে আসবেন তাদের সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
গত মঙ্গলবার মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাতিমাথ রিফাথ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালদ্বীপের কিছু কোম্পানি জাল কাগজপত্র দিয়ে কর্মী নিয়োগ করেছে। তাই গেল এক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
দ্বীপদেশটিতে অবৈধ অভিবাসী সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘কুরাঙ্গি’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে ৭০০ জনের বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। পরে নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছিলেন, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ১ লাখ ৩৯ হাজার ২২০টি ওয়ার্ক পারমিট আগে থেকেই রয়েছে। তাদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ফি নিয়মিতভাবে দিয়ে বৈধ আছে মাত্র ৩৯ হাজার ৪ জন।
মালদ্বীপে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ হাজার ৬৪২ জন বাংলাদেশি কর্মী আগে থেকেই ছিলেন। মালদ্বীপের কর্মসংস্থান আইন অনুযায়ী, একটি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের কোটা ১ লাখের কম।
এম হাসান