ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যেসব শর্তে হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি

প্রকাশিত: ১২:৪১, ৭ মে ২০২৪

যেসব শর্তে হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি

যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইয়ের প্রধান বিল বার্নস।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। এই চুক্তির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইয়ের প্রধান বিল বার্নস। 

তিনি সোমবারই কাতারের দোহা থেকে জেরুজালেমে পৌঁছেছেন। 

আরও পড়ুন : রাশিয়ায় চুরির অভিযোগে মার্কিন সেনা গ্রেপ্তার

ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে তাতে ইসরায়েলের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের একটি দল পাঠানো হবে। ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

হামাসের সম্মতি পাওয়া প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে কী কী শর্ত আছে, সেগুলোও এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে চুক্তির শর্তসমূহ তুলে ধরেছে। 

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন। চুক্তির প্রথম ধাপে ৪০ দিনের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এই দফায় যারা মুক্তি পাবেন তাঁরা হলেন, নারী, শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা। বিনিময়ে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। 

দ্বিতীয় ধাপে পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে আরও কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

চুক্তির তৃতীয় ধাপে ৪২ দিনের মধ্যে ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত বা জিম্মি অবস্থায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবার মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

চুক্তির প্রথম ধাপেই গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাতে গাজার সড়ক, বিদ্যুত, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং যোগাযোগ অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ করা হবে। আর চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে গাজার ঘর–বাড়ি ও বেসামরিক স্থাপনা পুনর্গঠনের পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে। অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে চুক্তির তৃতীয় ধাপে। 

সূত্র: আল-জাজিরা

তাসমিম

×