ছয় বছরের বাক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দিয়েছেন এক মা
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ছয় বছরের বাক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে কুমির ভর্তি খালে ফেলে দিয়েছেন এক মা। গতকাল রবিবার খাল থেকে শিশুটির ক্ষত–বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বাক প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো রবি কুমার শীল ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীর। শনিবার রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর ক্ষুব্ধ সাবিত্রী তাঁর সন্তানকে পাশের একটি খালে ফেলে দেন। খালটিতে প্রচুর কুমির রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সন্তানকে খালে ফেলে বাড়ি ফেরার পর তিনি ভীষণ অনুতপ্ত হন এবং চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি আমার ছেলেকে খালে ফেলে দিয়েছি। দয়াকের তাঁকে বাঁচান।’
আরও পড়ুন : অফিসে অভিযান, যে কারণে আল জাজিরা বন্ধ করতে চাচ্ছে ইসরায়েল
ছেলেটির নাম বিনোদ। প্রতিবেশিরা এরপর বিনোদকে উদ্ধার করতে ওই খালে যায়। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে স্থানীয় থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর এসে বিনোদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
সন্তোষ নামে প্রত্যক্ষদর্শী একজন গ্রামবাসী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শিশুটিকে হয়তো খালের পাড়ে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাই ঝোপের মধ্যেই খুঁজছিলাম। পরে জানতে পারি বিনোদকে সরাসরি খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
পরদিন সকালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা এসে কুমিরের মুখ থেকে শিশুটির ক্ষত–বিক্ষত খণ্ডিত দেহাবশেষ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, রবি ও সাবিত্রী দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাবিত্রী পুলিশকে জানান, ছেলেকে নিয়ে স্বামী রবির সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো তাঁর। রবি নাকি সব সময় বলেন, ‘এই সন্তান কী কাজে লাগবে? সে শুধু খায়।’
এবি