ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

তিউনিসিয়ায় নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দেশে আসবে আজ  

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২ মে ২০২৪

তিউনিসিয়ায় নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দেশে আসবে আজ  

মৃতদের লাশের কফিন। 

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ জন বাংলাদেশির মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে দেশে পৌঁছাবে। 

লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, মরদেহগুলো সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ২ মে দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব. আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। নিহত আট বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির নয়ন বিশ্বাস, একই উপজেলার খালিয়ার মামুন সেখ ও সজল, একই উপজেলার বাজিতপুর নতুনবাজারের কাজি সজীব ও কবিরাজপুরের কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দুর্ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তিউনিসিয়ার জারবা ও গ্যাবেস হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে সংরক্ষিত সকল মৃতদেহ পরিদর্শন করে। এরপর দুর্ঘটনায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় মৃত আটজন বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তী দূতাবাস হতে নিহত বাংলাদেশিদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করে মৃতদেহ সমূহ দেশে প্রেরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই লক্ষ্যে দূতাবাস হতে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় মিউনিসিপালিটির সাথে নিরলসভাবে কাজ করে পর্যায়ক্রমে মৃতদেহ সমূহের সুরতহাল, মৃত্যু সনদ এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যুসহ অন্যান্য সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

দূতাবাস আরো জানায়, দালাল ও মানবপাচারকারীর প্ররোচনায় পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিবাসনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ওই নৌকায় প্রায় ৫২ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তারা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাচ্ছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি নৌকায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জন নিহত হন। নিহত অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক।

এম হাসান

×