ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী প্রথম ফ্লাইট আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পৌঁছাতে পারে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন : ৬০ পেরিয়েও কীভাবে এমন ছিপছিপে নীতা আম্বানি? রহস্য উদ্ধার
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল প্রসঙ্গে ঋষি সুনাক বলেন, আর কোনো যদি ও কিন্তু নেই। যথেষ্ট হয়েছে, আর দেরি করা হবে না। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডায় যাচ্ছে ও আমরা তার জন্য প্রস্তুত। গ্রীষ্মে এর জন্য একাধিক ফ্লাইট চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কয়েক বছর বিপুলসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ছোট নৌকায় করে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডে আসতে শুরু করেছে। তাদের প্রবেশ ঠেকানোটা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। পার্লামেন্টে আজ রুয়ান্ডা বিল পাস করিয়ে আইনে পরিণত করা হবে।
যুক্তরাজ্যে এ বছরের শেষ দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগ দিয়ে ঋষি সুনাক রুয়ান্ডা বিলটিকে ভোটারদের কাছে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির মূল অ্যাজেন্ডায় পরিণত করেছেন।
যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। ১৪ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির কাছে ক্ষমতাসীনদের পরাজয় ঘটবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
তবে অভিবাসন ইস্যু নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বরিস জনসন প্রথম প্রস্তাবটি তুলেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি আইনে পরিণত হয়নি ও যুক্তরাজ্যের কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশীকে এখনো রুয়ান্ডায় পাঠানো হয়নি।
গত বছর বিলটির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। এরপরও থেমে থাকেননি ঋষি সুনাক। আশ্রয়প্রার্থীদের আফ্রিকার দেশটিতে পাঠাতে নতুন বিল নিয়ে পার্লামেন্টে গেছেন তিনি। নিজ দলের রক্ষণশীল আইন প্রণেতাদের বাধার মুখে পড়েও শেষ পর্যন্ত হাউস অব কমন্সে পাস হয়েছে বিলটি।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি
তাসমিম