পেরু দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি।
পেরু নিঃসন্দেহে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটিতে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্প্যানিশ ব্যবহৃত হয়। আপনি যে কোনো দেশে যান এটি সত্য যে সে দেশের ভাষা জানা থাকলে আপনার ভ্রমণ আরামদায়ক হবে।
মাচু পিচু পেরুর সবচেয়ে বড় ট্যুরিস্ট আকর্ষণ এটি। সবুজে ঢাকা পর্বতচূড়াগুলো যেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ভ্রমণকারীদের দিকে। তারই মাঝে হারিয়ে যাওয়া ইনিকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের সাথে দেখা হবে আপনার। আর্কিওলোজিকাল সাইটের ভক্তরা অবশ্যই ঘুরে যাবেন পেরুর চান চান নামক প্রাচীন শহরে। এর আভিধানিক অনুবাদ দাঁড়ায় ‘ঝঁহ ঝঁহ’। তুলনামূলক অপরিচিত কিন্তু ঐতিহ্যে অনন্য শহর এটি।
যদি নিজের জীবনকে নতুন চ্যালেঞ্জ দিতে চান তাহলে আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে ইনকা ট্রায়াল। সাউথ আমেরিকার বিখ্যাত ট্রাকিং রুট এটি। ইনকাদের পদানুসরণ করে পাড়ি দিতে পারেন পর্বতময় দুর্গম পথ- এটাই চ্যালেঞ্জ এখানে।
যখন পেরুর আকর্ষণের মূলেই রয়েছে সব প্রাচীন সভ্যতা তখন চোখ ফিরিয়ে ভিন্ন কিছু খুঁজলেও হতাশ হবেন না। পেরুতে সেই আয়োজনও আছে। ঘুরে আসুন কাসা ডে লা এমান্সিপাকন, এর অবস্থান কলোনিয়াল শহর ট্রুজিলোতে। লিমার পর এটিই সবচেয়ে বড় মেট্রোপলিস। পেরুর আধুনিক শহর, শিল্প-সংস্কৃতির সাথে পরিচয় হবে আপনার এখানে, এর মধ্যে কিউবিক কাজাবাম্বা ফ্লোর একটি মাস্টারপিস।
আপনি যদি দুবাই থেকে পেরু ভ্রমণ করতে যেতে চান তাহলে এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেই পেরুর ভিজিট ভিসা নিতে পারেন। দুবাই থেকে পেরুর ভিজিট ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।
১. ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ
২. ব্যাক্তিগতভাবে পেরুর এম্বাসিতে হাজির হওয়া
৩. বৈধ পাসপোর্ট
৪. ইউএই এর বৈধ রেসিডেন্সি ভিসার কপি
৫. এমিরেটস আইডি
৬. দুবাই থেকে পেরুর রিটার্ন সহ কনফার্ম এয়ার টিকেট বুকিং
৭. হোটেল বুকিং
৮. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৯. ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট
১০. ভিসা ফি পরিশোধ
১১. সেলারি সার্টিফিকেট এবং এনওসি কোম্পানি থেকে।
এম হাসান