নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট।
পবিত্র রমজান মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসরায়েলি পণ্য বয়কট জোরেশোরে চলছে। এই অঞ্চলের বৃহৎ দুটি মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে দিনকে দিন। মালয়েশিয়ায় ধরাশায়ী ম্যাকডোনাল্ডস, স্টারবাকস ও ইউনিলিভার।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এবং নিক্কেই এশিয়া তাদের স্ব স্ব প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার কাস্টমস তাদের স্থানীয় বাজারে ইসরায়েলি খেজুর বিক্রির অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন : মস্কোতে হামলার বদলা নেওয়ার ঘোষণা রাশিয়ার
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের মুসলমানরা এক মাস ধরে ইসরায়েলি পণ্য ও কোম্পানি বয়কট করে চলেছে প্রতিদিন।
মালয়েশিয়ায় এই বয়কট কার্যকর হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ফলে। এতে দেশটিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সব কোম্পানির বেচা-বিক্রি কমে গেছে। ডোমিনোস, স্টারবাকসের মালয়েশিয়া শাখা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে নানা কাকুতি-মিনতি করে যাচ্ছে প্রতিদিন।
নিক্কেই এশিয়া বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে মনে করা পণ্যগুলো বয়কট করার আহ্বান প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর উপরে দারুণভাবে প্রভাব ফেলছে। ফেব্রুয়ারিতে, ম্যাকডোনাল্ডস বলেছিল যে, যুদ্ধের প্রভাব তাদের উপরেও পড়েছে কারণ ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আন্তর্জাতিক বিক্রয় মাত্র ০.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে ১৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি থেকে তীব্রভাবে কমেছে।
ম্যাকডোনাল্ডের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি বলেছেন, সবচেয়ে স্পষ্ট প্রভাব যা আমরা দেখছি তা হলো- মধ্যপ্রাচ্য এবং ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলিতে। যতদিন এ সংঘাত, এ যুদ্ধ চলছে, আমরা কোন উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পারব বলে মনে হয় না।
এদেশগুলিতে অন্যান্য ব্র্যান্ড ও যে পণ্যগুলি বয়কটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইউনিলিভার এবং কফি চেইন স্টারবাকস।
সৌদি আরব, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ম্যাকডোনাল্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
এসআর