সামরিক বাহিনী।
২০২১ সালের অভ্যুত্থান প্রতিহত করতে লড়াই করা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লড়াই ঠেকাতে নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদানের খসড়া তৈরি করেছে দেশটির জান্তা সরকার। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ নিয়োগ কার্যকরের কথা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীতে যোগদান এড়াতে দেশ ছাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে মিয়ানমারের তরুণদের। খবর আল-জাজিরা।
স্থানীয় সময় রবিবার (১০ মার্চ) কাতার ভিত্তিক ওই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকল পুরুষকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। আর নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে, তাদেরও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে।
কো নাইন মিয়ানমারের একজন ৩৩ বছর বয়সী যুবক। সেনাবাহিনীতে ডাক পাওয়া দেশটির অনেক যুবক ও নারীরর মধ্যে তিনিও একজন। আল-জাজিরাকে তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ডাকে সাড়া দেয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই। যদি তাকে যোগ দিতে বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল বা অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
কো নাইন আরো বলেছেন, এভাবে পালিয়ে যাওয়ার কথা শুধু আমিই ভাবছি বিষয়টি এমন নয়। এখানে আমার মতো আরো অনেকে এভাবে চিন্তা করছেন। কারণ মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ জান্তা সরকারকে অবৈধ সরকার বলে মনে করেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চিকে হটিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। এরপর থেকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে একের পর এক যুদ্ধে পরাজিত হতে দেখা যাচ্ছে। মূলত সেখানে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদানে বাধ্যতামূলক আইন পাস করেছে জান্তা সরকার।
এম হাসান