ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কারাগার থেকে ৪ হাজার বন্দি ছিনতাই

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৪ মার্চ ২০২৪

কারাগার থেকে ৪ হাজার বন্দি ছিনতাই

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রধান কারাগারে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রধান কারাগারে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বোমা বিস্ফোরণসহ রাতভর চালানো এ হামলার পর কারাগারে থাকা প্রায় ৪ হাজার বন্দিকে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

কারাগারে থাকা বন্দিদের মধ্যে ২০২১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার সঙ্গে জড়িত সাজাপ্রাপ্ত গ্যাং সদস্যরাও ছিলেন। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

বিবিসি জানায়, হাইতিতে সর্বশেষ এই সহিংস হামলার ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি)। ওইদিন হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি নাইরোবি সফরে যান।
 
এরপরই গ্যাং নেতা জিমি চেরিজার হেনরিকে অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
পোর্ট অব প্রিন্সের বেশিরভাগ সহিংস ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় সাবেক যে পুলিশ কর্মকর্তাকে, তিনি বলেন, প্রাদেশিক শহরের সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।
 
সম্প্রতি সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর দফায় দফায় সহিংসতায় চার পুলিশ সদস্য নিহত এবং পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনার পর হাইতিতে ফরাসি দূতাবাস থেকে রাজধানীর আশপাশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
 
এর আগে, হাইতির পুলিশ সেনাবাহিনীকে তাদের কারাগারের নিরাপত্তা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়; কিন্তু তার আগেই শনিবার (২ মার্চ) রাতে হামলা চালায় সশস্ত্র দলটি। রবিবার (৩ মার্চ) কারাগারের ফটক পুরোপুরি খুলে যায় এবং দেখা যায় সেখানে কোন পুলিশ কর্মকর্তা নেই।

সাস্প্রতিক বছরগুলোতে হাইতিতে সহিসংতা অনেক বেড়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া গ্যাং সদস্যরা পোর্ট অব প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
 
হাইতিতে প্রেসিডেন্ট মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সহিংতা চলছে। তার মৃত্যুর পর নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি দেশটিতে।

এবি 

×