যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ওই খসড়া প্রস্তাবে তারা ভেটো দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের সমালোচনায় নেমেছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর পাশাপাশি মিত্ররাও। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের এটা তৃতীয়বারের অবস্থান গ্রহণ।
ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ২৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি বিরাজ করছে; লাখো মানুষ রোগশোকে মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। গতকাল বুধবার এক দিনে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হয়েছে আবাসিক এলাকাগুলোতেও।
আরও পড়ুন : আমাজন জঙ্গলে দেখা মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ
আলজাজিরা জানায়, নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টি যুদ্ধবিরতির পক্ষে রায় দিয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা (ভেটো) করেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত ছিল। সিনহুয়া লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে ‘চরম হতাশা ও অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে চীন।
জাতিসংঘের দেশটির রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ভুল বার্তাকে সামনে আনে, যা গাজার পরিস্থিতিকে আরও ভয়ানক করে তুলবে। আর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেভেনজিয়া বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের ইতিহাসে এটি ‘আরও একটি কালো অধ্যায়’।
নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্সও। দেশটির রাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডি রিভেরি গভীর অনুতাপ প্রকাশ করে বলেন, গাজায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য অনুমোদন দেওয়া হলো।
আলজেরিয়া বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপের মূল্য পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে দিতে হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একজোট হতে হবে। এ ছাড়া কাতার, সৌদি আরব, নরওয়ে, কিউবাসহ অনেক দেশ অনুতাপ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র আর কখন সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে?
দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, দ্য হেগে আইসিজেতেও ইসরায়েলের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে তারা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে বললেও ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল যে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে ‘ন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছে।
তাসমিম