পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেঁধে সরকার গড়তে চলেছে।
বিগত কয়েক দিনের টালমাটাল অবস্থা কি এবার কাটিয়ে ফেলবে পাকিস্তান? নির্বাচন মিটলেও কুর্সির দখল নিয়ে চলছিল টানাপড়েন। অবশেষে পর্দা সরল সেই জল্পনার উপর থেকে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেনজির-পুত্রের আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল সেই বার্তা। এ দিন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শাহবাজ শরিফ। আর প্রেসিডেন্ট হবেন আসিফ আলি জারদারি।
গাঁটছড়া চূড়ান্ত পাকিস্তানে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে পিপিপি। মঙ্গলবার রাতে এক পাশে শাহবাজ এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জারদারিকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিলাবল। সেখানেই তিনি পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন। পাশাপাশি জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ আর প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারি।
শাহবাজের দল আসিফ জারদারিকে প্রেসিডেন্ট পদে সেখানেই সমর্থন জানিয়ে দেন। ঠিক যেমন বিলাবল শাহবাজকেই প্রধানমন্ত্রী মেনে নেন।
বিলাবল বলেন, ‘পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে। এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি।’ এ কথায় সায় দেন পাশে বসে থাকা শাহবাজও। হবু প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেনি, কিন্তু তারা পৌঁছে গিয়েছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোটের ফল প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। আর সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই ফলের জেরে কোনো দলই একক ভাবে সরকার গড়ার মতো অবস্থায় ছিল না।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পরিষ্কার হয়ে গেল, পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেঁধে সরকার গড়তে চলেছে।
এর পাশাপাশি মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ১৭টি আসন নিয়ে জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৪৬ জন জয়ী সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের মসনদে বসতে চলেছেন শাহবাজ। তবে পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেনি, কিন্তু তারা পৌঁছে গিয়েছেন।
এম হাসান