ইমরান খান।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠন করতে তাদের আমন্ত্রণ জানাবেন। যেহেতু জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন— তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিজের এক বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমাদের ঝগড়া নেই। আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব এবং সরকার গঠন করব।’
তিনি জানান, সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোট গণনা করেছেন এবং সেই অনুযায়ী ফরম ৪৫ তৈরি করেছেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল অবশ্যই ফরম ৪৫ অনুযায়ী হতে হবে। ফরম ৪৫ হলো প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের আলাদা আলাদা ফলাফল। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে প্রার্থীদের ফরম ৪৫ প্রদান করা হয়ে থাকে।
ব্যারিস্টার গহর বলেছেন, ‘পিটিআইকে যেন কোনো ধরনের বাধা প্রদান না করা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। আইন অনুযায়ী, চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুত হয় ফরম ৪৫ অনুযায়ী এবং এ সব ফলাফল পেয়েছি আমরা।’
তিনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এসব প্রার্থী পিটিআইয়ের প্রতি অনুগত ছিল এবং থাকবে। এছাড়া, নিজেদের স্বাধীন সরকার গঠনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দল আন্তঃদলীয় নির্বাচন করবে। তার দাবি, ভোটাররা পিটিআইকে তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং দলীয় প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা সকল মামলা মিথ্যা।
সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে ব্যারিস্টার গহর আলী জানান, সংরক্ষিত আসন নিয়ে তারা খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তারা কোন দলে যোগ দেবে সেটিও ঠিক করা হবে। এছাড়া, যেসব আসনে এখনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি; সেসব আসনে শান্তিপ্রিয় কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেছেন, যেসব আসনে পিটিআই প্রার্থীরা জয় পেয়েছে সেগুলোতে তাদের হারানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার দাবি, জাতীয় পরিষদে অন্তত ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছেন তারা। এছাড়া খাইবার পাখতুনখাওয়ার জাতীয় পরিষদের ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জয় পেয়েছে তাদের দল।
নিজেদের মধ্যে পরামর্শ শেষে আগামী দুইদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার গহর। এছাড়া পাঞ্জাবেও পিটিআই সরকার গঠন করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে গত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। এতে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে দেশটির সাকেব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বর্তমানে তিনি ও তার স্ত্রী কারাগারে বন্দি রয়েছেন। নির্বাচনে দেশটির জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করল ইমরান খানের জনপ্রিয়তা।
সূত্র: জিও টিভি।
এম হাসান