পাসপোর্ট পেয়ে খুশি প্রবাসী।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট বিতরণ করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। অনিয়মিত অভিবাসী শ্রমিক নিয়মিত করার কর্মসূচিকে সামনে রেখে পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে।
পোস্ট অফিসের পাশাপাশি হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার ও কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউজ থেকে বিতরণ করা হয় পাসপোর্ট। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন এ তথ্য জানান।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং ৩০ জুনের মধ্যে আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভিসা দেবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।
বৈধ করণের সুযোগ কাজে লাগাতে এ পর্যন্ত হাইকমিশন থেকে (এক বছরে) প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
হাইকমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে সিবিএল মানি ট্রান্সফারের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিবিএল মানি ট্রান্সফারের সিইও মো. সাঈদুর রহমান ফারাজী এবং পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন।
নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এছাড়া, ডাকযোগে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হলে appointment.bdhckl.gov.bd/poslaju ঠিকানায় প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া পাসপোর্ট বিতরণ সম্ভব হবে না। তবে একই সঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছেন হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন।
এম হাসান