পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
কারাগারে থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আরও ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ। পাকিস্তানের সেনা সদর দপ্তরে হামলাসহ ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ইমরান খানকে দুই দিনের পুলিশি হেফাজতে (ফিজিক্যাল রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদিয়ালা জেলেই ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শুধু মার্কশিট থাকলেই এই ৫ দেশ ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে আমন্ত্রণ জানাবে
এদিকে গতকাল ইসলামাবাদের জবাবদিহি আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান খান বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে পাওয়া ১০৮টি উপহারসামগ্রীর মধ্যে ৫৮টি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি। এগুলো তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে ‘নামমাত্র মূল্যে’ উপহারগুলো নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি তোশাখানা বিধি উপেক্ষা করে সুন্দর ও দামি গয়না নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।
তোশাখানা মামলার কার্যক্রম ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন বিচারপতি। একই দিনে ১২ সাক্ষীকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
সাক্ষীদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সাবেক সামরিক সচিবসহ দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা আছেন। ব্যক্তিগত উপদেষ্টা শোহাইব আব্বাসিও ইমরানের বিপক্ষে গিয়ে (অ্যাপ্রুভার) হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন।
জেলে বসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, তিনি ক্ষমতাবান পক্ষের লাগাম টেনে ধরেছিলেন। আর এর জন্যই তাঁকে ভুগতে হচ্ছে।
জামিন নামঞ্জুর
তোশাখানা ও আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিন চেয়ে ইমরান খানের করা আবেদনটি গতকাল খারিজ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালতের বিচারপতি মোহাম্মদ বশির জামিন নামঞ্জুর করেন। ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতিসংক্রান্ত আল কাদির ট্রাস্ট মামলাটির কার্যক্রম ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। একই দিনে ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ডন
তাসমিম