ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭। তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সারঙ্গানি প্রদেশ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২.১ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে।
ভূপৃষ্ঠের ৭০.৩ কিলোমিটার (৪৩.৬ মাইল) গভীরতায় এই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আঘাত হানে। অবশ্য কম্পনের জেরে আহত বা অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে টানা তিনদিন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপাইন। ওই তিনটি কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮, ৬ দশমিক ৪ এবং ৭ দশমিক ৬।
প্রথম দফার ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। দেশটির সুরিগাও দেল সুর, দাভাও ওরিয়েন্টালের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুনামি সতর্কতা বাতিল করে বাসিন্দাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি দেয় দেশটির ভূকম্পবিদ্যা সংস্থা ফিভোলকস।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৭ নভেম্বরের সেই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আটজনের প্রাণহানি হয়। এছাড়া ভূকম্পনে আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তারও আগে গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ৬ মাত্রার এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে দেশটিতে গভীর রাতে আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প।
এর আগে ফিলিপাইনে সর্বশেষ ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি। ওই বছরেই জুলাইয়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভূমিধসে ১১ জন প্রাণ হারান।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে’ রয়েছে যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।
এবি