ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

লন্ডনে বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র চালু

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ২ জানুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ১৬:৫৯, ২ জানুয়ারি ২০২৪

লন্ডনে বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র চালু

এনআইডি চালুর মাধ্যমে প্রবাসী দিবস উদযাপন

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চালুর মধ্য দিয়ে ‘প্রবাসী দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

এ উপলক্ষে শনিবার দূতাবাসে এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ গত ৫২ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হাইকমিশনার প্রবাসী-বান্ধব বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ এবং ৩০ ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। হাইকমিশনার বলেন, গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সাথে রেকর্ডসংখ্যক কনস্যুলার এবং ওয়েলফেয়ার সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

২০২৩ সালেই কোভিড পূর্ববর্তী ২০১৯ এর তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি এনভিআর, ২৫ শতাংশ বেশি এমআরপি এবং ২,৫০০ এর বেশি ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত সার্ভিস দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লন্ডন থেকে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দিতে পেরে হাই কমিশন গর্বিত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্ত্যরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রবাসীদের সর্বপ্রকার সহায়তা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন সদা অঙ্গীকারবদ্ধ।

হাইকমিশনার যুক্তরাজ্যের মূলধারার রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, আইন, শিক্ষকতা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত সফল এবং মেধাবী নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ ও আইরিশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করে এ বিশেষ দিনে তাদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পরে হাইকমিশনার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। 

হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, এনআইডি কার্ডের জন্য বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বাংলাদেশি জন্ম-নিবন্ধন সনদ নেই, তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে তাদের শিগগিরই বাংলাদেশের জন্ম-নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন হতে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি গ্রহণ করতে পারবেন।

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×