বোমা হামলা
গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল নাসের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, হামলায় হতাহত বেশ কয়েকজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। রাফাহ অঞ্চলেও এ সময়ে একের পর হামলার শব্দ শোনা গেছে। গাজাবাসীর জন্য এখন কোনো জায়গা নিরাপদ নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় বুরেজি ও নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরেও একের পর এক বিমান হামলা হয়েছে। খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েক শিশু রয়েছে।
মধ্য গাজার মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে গত রবিবার গভীর রাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে ‘হত্যাযজ্ঞ’ বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে এই বিমান হামলাকে ‘ভয়ংকর গণহত্যা’ ও ‘নতুন যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এরপর আবার রাতভর হামলার ঘটনা ঘটল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার পাল্টা বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
পরে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২০ হাজার ৫০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
আল জাজিরা
তাসমিম