মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মী
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং জানিয়েছেন, দেশটির অভিবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসবে দুই মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মানবসম্পদ মন্ত্রী সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলি একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি বৈঠক করবে।
মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নীতি ও চলমান বিষয়গুলিকে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে, বিশেষ করে বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনার এখতিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে।
মন্ত্রী বলেন, “১২ ডিসেম্বর (মানবসম্পদ মন্ত্রী হিসাবে) শপথ নেওয়ার একদিন পর, আমি প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল) সাথে দেখা করে বিদেশি কর্মীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের সম্পর্কিত নীতি ও করণীয় সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার জন্য বৈঠকের জন্য বলেছি।” বিশেষ করে দুটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে থাকা বিষয়গুলি আলোচনার পর একটি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান মানবসম্পদ মন্ত্রী।
স্টিভেন সিম চি কিয়ং, যিনি বুকিত মেরতাজাম এলাকার সংসদ সদস্য (এমপি)। বিদেশি শ্রমিকদের বিষয়গুলো একটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে রাখার জন্য বিভিন্ন দলের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্তব্য করতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও যোগ করেছেন, এসব নিয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সমস্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিও পর্যালোচনা করেছেন।
একই সরকারের সময়ে মন্ত্রিসভা রদবদল হওয়ায় তিনি পূর্ববর্তী মন্ত্রীদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “আমরা ভাল নীতিগুলির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করব এবং যে নীতির উন্নতির প্রয়োজন পরে সেগুলি নিয়ে কাজ করব। আমাকে প্রথমে এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কে ধারণা নেবার জন্য কিছু সময় দিন। সময়ে সময়ে নীতি ও নিয়ম সম্পর্কে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় সেক্টর ভিত্তিক মন্ত্রণালয়, মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে। বিশেষ করে যে সেক্টরে কর্মী প্রয়োজন সে সেক্টর প্রথম অনাপত্তি দেয়। এরপর মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্মীর সংখ্যা ও কর্মীর বেতন, সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বীমা এবং আবাসন বিষয় পরীক্ষা করে সঠিক পেলে অনুমতি দেয়।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে আগত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনাপত্তি দিয়ে থাকে। অনুরূপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি কর্মীর সিকিউরিটি চেক করে ক্লিয়ারেন্স এবং মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অনুমতি দেয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সে দেশে অবস্থিত দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্মীর নামে ভিসা ইস্যু করে। কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করলে বিমান বন্দর থেকেই নিয়োগ কর্তা কর্তৃক গ্রহণ, কর্মসংস্থান নিশ্চিত এবং চুক্তি সমাপ্ত হলে কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণ করে।
এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে বিদেশি কর্মীর ভিসা নবায়ন এবং ভিসার শর্ত ও ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করলে কর্মী এবং নিয়োগকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর অধীন ইমিগ্রেশন বিভাগ।
এবি