সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: ইন্টারনেট
আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জানিয়েছে, গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা স্টেইটগুলোসহ নিষিদ্ধ করা হয়নি এমন স্টেইটগুলোতেও গর্ভপাত প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধের কথা বিবেচনা করবে তারা। অন্য কোনো একটি ওষুধের সঙ্গে মাইফপ্রিস্টোন নামের ওষুধটির ব্যবহার আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি প্রচলিত গর্ভপাত প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অ্যামেরিকার নিম্ন আদালতগুলো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাব করলেও এখন পর্যন্ত মাইফপ্রিস্টোন ওষুধটি কোনো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েনি। গত এপ্রিলে উচ্চ আদালত ঠিক করেছে, মামলা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ওষুধটির ব্যবহার সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধা অপরিবর্তিত থাকবে।
কার্যকর হলে এই ওষুধের ব্যবহারে বিধিনিষেধ আসতে পারে এমন একটি মামলার রায় পরিবর্তন করতে বিচারকদেরকে অনুরোধ করছে বাইডেন প্রশাসন ও এই ওষুধের নির্মাতা এক প্রতিষ্ঠান। একই সময়ে গর্ভপাতের বিরোধিতা করা সংস্থাগুলো ও চিকিৎসকেরা চান, বিচারকরা যেন কঠোরতা অবলম্বনের পাশাপাশি ২০০০ সালে এই ওষুধের অনুমোদনের সিদ্ধান্তটিকেও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তারা ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর ওষুধটির নিরাপদ ও কার্যকরী অনুমোদনের বিষয়টিকে সমর্থন করবে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন পিয়েরে এক বিবৃতিতে জানান, যখন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস আদালতে এফডিএর সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকছে, তখন নিজেদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর নারীদের পূর্ণ অধিকার ও গর্ভপাতের পক্ষে নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস।
বিচারকদের নিম্ন আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে গর্ভপাত প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় এই ওষুধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান করেছেন রক্ষণশীল অ্যালায়েন্স ডিফেন্ডিং ফ্রিডমের আইনজীবী এরিন হাওলি।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব আদালতই এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যে, নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে এফডিএ এর গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়ার বিষয়টি বেআইনি ছিল। সুপ্রিম কোর্টকেও আমরা একই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আহ্বান করছি।’
এসআর