ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

অন্যান্য দেশেও কি বাংলাদেশের মতো নির্বাচনের তফসিল দেয়া হয়?

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

অন্যান্য দেশেও কি বাংলাদেশের মতো নির্বাচনের তফসিল দেয়া হয়?

নির্বাচন 

বাংলাদেশে এখন চলছে নির্বাচনের ঢামাঢোল। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। সাধারণত তফসিল ঘোষণার পরেই জানা যায় পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠিক কবে অনুষ্ঠিত হবে।  বাংলাদেশের নিয়মনুযায়ী তফসিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণের দিনের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের পার্থক্য থাকে।

নির্বাচনের তারিখ ছাড়াও নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যে একটি সময় বেঁধে দেয়া হয় তফসিলে। এছাড়াও প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন সেটি ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন।

আরও পড়ুন : সন্ধায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে - সেটির উল্লেখ থাকে এই তফসিলে। এছাড়াও নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে শুরু হবে আর কোন সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে তার বিস্তারিত এবং ভোটের পর ভোট গণনা কিভাবে এবং কোথায় হবে তারও পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। এই পুরো বিষয়টির সমষ্টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।

সারা বিশ্বের অন্যন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের মতো নির্বাচনের তফসিল দেয়া না হলেও অনেকটা কাছাকাছি নিয়মেই তফসিল দেয়া হয়। 

যেমন ব্রিটেনে তফসিলের সময়কাল হল সব মিলিয়ে ১৭ দিন। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৭ দিনের মধ্যে সেখানে নির্বাচন সহ তার আগের সবকিছু শেষ করতে হবে। ব্রিটেনে আইন করে স্থায়ী একটি তফসিল তৈরি করাই রয়েছে। যেখানে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন নির্বাচন আয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্রিটেনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নেই।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, বিলুপ্ত হওয়া লোকসভা বা বিধানসভার সর্বশেষ অধিবেশন থেকে নতুন সরকার গঠনের মধ্যে সময়সীমা ছয় মাসের বেশি হতে পারবে না। এই সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী আট দিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। এরপর বাছাইয়ের জন্য একদিন বরাদ্দ থাকে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য দুইদিন বরাদ্দ থাকে। এরপরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সাধারণত দুই সপ্তাহ সময়সীমা দেয়া হয়ে থাকে। তবে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হয়।

পাকিস্তানে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা, বাছাই, প্রচারণায় সবমিলিয়ে ৫৪ দিনের মতো সময় পাওয়া যায়।

ভারতের মতো এখানেও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর বাছাই, প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর অন্তত ২২দিন পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবি 

×