গাজার হাসপাতাল
জ্বালানি সংকটে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে গাজার সব হাসপাতাল! গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেন, ‘জ্বালানির সংকটের কারণে গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।’ গাজায় একদিকে ইসরাইলি বাহিনীর অবিরাম হামলা, অন্যদিকে জ্বালানি সংকট। এ অবস্থায় উত্তর গাজার বেশির ভাগ হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল আল-শিফা এবং আল-কুদস জ্বালানি সংকট ও ইসরাইলি হামলার ভয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা জানান, ইসরাইলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে লাশগুলো দাফন করারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বহু মরদেহ। এ অবস্থাতেই পচে যাচ্ছে সেগুলো।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের শরণার্থী এবং ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে 'ভয়াবহ' বলে উল্লেখ করে গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং জরুরি মানবিক সহায়তা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।
৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুই সাড়ে চার হাজার।
এস