গাজায় ইসরাইলী নৃশংসতার প্রতিবাদে সিডনিতে বিক্ষোভ
গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এই উপত্যকার বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টায় সেন্ট্রাল লন্ডনের পোর্টল্যান্ড স্ট্রিট ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন-বিবিসি অফিসের সামনে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। দুপুর দেড়টার দিকে পোর্টল্যান্ড স্ট্রিট থেকে মিছিল নিয়ে শান্তিকামী মানুষ রিজেন্ট স্ট্রিট, পিকাডোলি স্কয়ার, হে-মার্কেট, ট্রাফলগার স্কয়ার, হোয়াইটহল ও পার্লামেন্ট স্ট্রিট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের।
বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীমুক্ত করার দাবি করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। লন্ডন শহরের বাসিন্দা ছাড়াও সারা যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকশ’ বাসভর্তি হয়ে অনেকে বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন রাখতে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ সময় আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। রাত আটটা পর্যন্ত ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ করতে দেখা গেছে। ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে হোয়াইট হাউসের সম্মুখভাগ। শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের সামনে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে ঝড় তুলে বিক্ষোভ করেন। এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা তাদের হাতে বিভিন্ন বার্তা ও স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। প্ল্যাকার্ডে ‘দখলদারিত্বের অবসান করুন’ এবং ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’-এর মতো বার্তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওয়াশিংটনে শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেন আহমেদ আবেদ। তিনি বলছেন, ‘আমি আশা করি আমরা সবাই মিলে কিছু করতে পারি, আমরা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারি, যদি শুধু যুদ্ধটাই বন্ধ করতে পারতাম।’ অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা (গাজার ফিলিস্তিনিরা) কারাগারে আছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী মিছিল-সমাবেশ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শনিবার নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে আয়ারল্যান্ডেও। বিক্ষোভে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক হামলা বন্ধের দাবি করা হয়। একই দিন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ হয়। শত শত নারী পুরুষ এসব বিক্ষোভে অংশ নেয়।