সিল্যান্ড, ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীতে ভ্যাটিকান সিটির থেকেও অনেক ছোট দেশ রয়েছে।
পৃথিবীর সবথেকে ছোট দেশের নাম হলো ‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড’। সংক্ষেপে এটিকে বলা হয় ‘সিল্যান্ড’। সিল্যান্ড ইংল্যান্ডের সমুদ্রতীর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একে মাইক্রো নেশন বলা হয়ে থাকে। আয়তন ৫৫০ স্কয়ার মিটার।
আরও পড়ুন:ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া
ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই রাষ্ট্রটির অবস্থান। ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। বাইরের দেশে এ মুদ্রা চলে না।
দেশের জনসংখ্যা আরও অবাক করার মতো। আমাদের ১৮ কোটির দেশের যা হাস্যকর মনে হতে পারে। সিল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ২৭ জন।
‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড’-এর নিজস্ব পতাকা, রাজধানী, পাসপোর্ট, মুদ্রা, রাজা, রানী, জনগণ সবকিছুই রয়েছে।
এটি আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনাকে ঠেকাতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটি বানিয়েছিল। যা পরে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডাজ রায় বেটস এবং তার পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকারী হন। তারপর তারা এটাকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে দেন। এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ শাসন করেছে।
৯ অক্টোবর ২০১২ সালে রয় বেটসকে এখানে রাজা বলে ঘোষণা করা হয়। আর তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মাইকেল এখন এর শাসক হন।
পৃথিবীর কোনও দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতা করেনি। মাইক্রো নেশন হিসেবে বিশ্ব জুড়ে পরিচিত এই ‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড’।
টিএস