ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুললেন ইউক্রেন ও পশ্চিমারা

প্রকাশিত: ১৬:০১, ২৪ জুন ২০২৩

ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুললেন ইউক্রেন ও পশ্চিমারা

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ, ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে দেশটির সামরিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। প্রিগোজিন হুমকি দেন, নিজ সেনাদের নিয়ে তিনি রাজধানী মস্কোতে যাবেন এবং বর্তমান সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করে এরপর ক্ষান্ত হবেন।

ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন শনিবার (২৪ জুন) প্রায় ২৫ হাজার সেনা নিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রোস্তোভ প্রদেশে প্রবেশ করেন।

এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ওয়াগনারের অনেক সেনা ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং তারা তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে চলে যেতে সহায়তা চেয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে, এই বিদ্রোহের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ইউক্রেনে লড়াই করে আলোচনায় আসা ওয়াগনার বাহিনীর আকস্মিক বিদ্রোহ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এই বিদ্রোহকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ায় প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ইতোমধ্যে রোস্তোভ দখল করেছে।’

এছাড়া এই বিদ্রোহকে রাশিয়ার অভিজাত সমাজের মধ্যে একটি ভাঙন হিসেবে অভিহিত করে পোদোলিয়াক বলেছেন, ‘অভিজাতদের মধ্যে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী। সবকিছুরই সমাধান হবে এমন মনে করা ও ভান ধরা কোনোটিই কাজে দেবে না। কাউকে অবশ্যই হারতে হবে; হয় প্রিগোজিন অথবা প্রিগোজিন বিরোধীদের। রাশিয়ায় সবকিছুর শুধুমাত্র শুরুটা হলো।’

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা বলেছে, ২৪ জুন সকালে ইউক্রেন থেকে দুটি দিক দিয়ে ওয়াগনার সেনারা প্রবেশ করেন। যেটিকে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন ‘মার্চ ফর ফ্রিডম’ হিসেবে অভিহিত করেন।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ওয়াগনার সেনারা রোস্তোভের সেনা সদর দপ্তরসহ সামরিক অবকাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। এছাড়া ওয়াগনারের বাকি সেনারা ভোরেৎজের দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। মানে স্পষ্টভাবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজধানী মস্কোতে যাওয়া।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়াগনার এবং রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ওয়াগনার সেনারা যখন এগিয়ে আসছিল তখন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সেনারা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন।’

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার ফলাফল জানা যাবে বলেও এতে জানানো হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার এমন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বর্তমানে ওয়াগনার যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তবুও তারা এতে নজর রাখছেন।

এদিকে প্রিগোজিন শুক্রবার দাবি করেন, তার সেনাদের ওপর রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। আর এ হামলার বিচার পেতেই রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দেন তিনি। 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

 

তাসমিম

সম্পর্কিত বিষয়:

×