বালির পাহাড়।
বেড়ানোর নামে পাহাড়ে গিয়ে অভদ্র আচরণ করছেন পর্যটকেরা। তাই পর্যটকদের বেড়ানোর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল ‘ঈশ্বরের দ্বীপ’ বালি।
বালির গভর্নর ঘোষণা করেছেন, ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপপুঞ্জের যে ২২টি পাহাড় রয়েছে, তার কোনোটিতেই আর পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এখন থেকে শুধু পুজোআর্চা এবং বিপর্যয় মোকাবিলার প্রয়োজনেই পাহাড়গুলিতে ওঠা যাবে। প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, পাহাড়ের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বালি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই বালির একটি পাহাড়ে নগ্ন হয়ে ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার এক পর্যটকের বিরুদ্ধে। বালির এই পাহাড়গুলোকে হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বলে মনে করা হয়। অভিযোগ, সেই তীর্থক্ষেত্রে জেনে বুঝে অশালীন আচরণ করেছেন পর্যটকেরা। তারপর থেকে বিদেশি পর্যটকদের উপরে পাহাড় ভ্রমণে রাশ টেনেছিল বালি। কিছু কর বসানোও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এই ধরনের ঘটনা থামেনি বলে জানিয়েছে বালি প্রশাসন।
বালির গভর্নরের দপ্তর বলছে, বহু বিদেশি পর্যটক ওই সমস্ত পাহাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অভদ্র আচরণ করছেন। পর্যটকদের এই ধরনের আচরণে বিরক্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি বছর খানেক আগে বালির একটি পাহাড়ে পর্ন ছবির শ্যুটিং করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
বালি প্রশাসন জানিয়েছে, এই সব বিষয় মাথায় রেখেই পাহাড়গুলোতে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
জনপ্রিয়তার নিরীখে বালি এখন পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম। সেখানে এই নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন প্রেমীরা অশাহত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বালি প্রশাসন অবশ্য, সে ব্যাপারে ভাবতে নারাজ।
তারা জানিয়েছে, বালির পাহাড় হলো তাদের কাছে দেবতার মতো। পাহাড়ের পবিত্রতা নষ্ট হওয়া মানে বালির পবিত্রতাও নষ্ট হওয়া। তাই এই নিষেধাজ্ঞা চিরতরে জারি করা হচ্ছে। আর এই নিষেধাজ্ঞা শুধু বিদেশি পর্যটকদের জন্য নয়, বালির ২২টি পাহাড়ে দেশি হোন বা বিদেশি কোনো পর্যটকই আর বেড়াতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বালি গভর্নর।
এম হাসান