ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত: ২০:১৫, ৯ মে ২০২৩

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

১৪৪ ধারা জারি

পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। 

মঙ্গলবার (৯ মে) তিনি হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশটিতে নাটকীয়ভাবে আরও অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার দল পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা পাকিস্তান অচল করার জন্য বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। 

অন্যদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে চারজনের বেশি জমায়েত।

গ্রেপ্তার করার পর ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে রাখা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও নেওয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইসলামাবাদ পুলিশের টুইটার পেজে জানানো হয়েছে, ‘আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

স্থানীয় টিভিতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে জড়ো হয়েছেন পিটিআইয়ের কয়েক শ কর্মী–সমর্থক। সেখানে তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়।

অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন ইমরান খান। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। তার এমন অভিযোগে সেনাবাহিনী ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল সোমবার তাকে সতর্ক করে। সেনাবাহিনী সতর্ক করার পরদিনই ইমরান গ্রেপ্তার হলেন।

গতকালের ওই সতর্কতার মধ্য দিয়ে আরও স্পষ্ট হয়, ইমরান খানের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। বলা হয়ে থাকে, সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ইমরান ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেন। তবে মতবিরোধের জেরে সেনাবাহিনী সমর্থন প্রত্যাহার করলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা হয়।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তানের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত নাজুক। ইমরান খান অপসারিত হওয়ার পর গঠিত জোট সরকারের অবস্থানও নড়বড়ে। আর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান আগাম নির্বাচন আয়োজনে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। যদিও শাহবাজ শরিফ সরকার এখনো নিজ অবস্থানে অনড়।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে লাহোরে এক সমাবেশে ইমরান খান আবারও দাবি করেন, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসের গত বছর তাকে গুপ্তহত্যার চক্রান্ত করেন। এরপর একটি সমাবেশে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তবে গুলি তার পায়ে লাগে।

এদিকে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে ইমরানের ওই অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, এ বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

 
 

 

এমএস

×