উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটিতে। আর এই ঘটনায় তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সরকারিভাবে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা সহায়তা করছে তুরস্ককে। এমনকি বাংলাদেশি সেনা, সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরাও উদ্ধার কাজে সরাসরি অংশ নিয়েছে।
তুরস্কের প্রতি বাংলাদেশের এই ভালোবাসার চিত্র তুলে ধরছে তুর্কি গণমাধ্যম। একাধিক খবরে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি বার বার বাংলাদেশের সহায়তা ও ভালোবাসার বিষয়টি তুলে ধরছে।
‘তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশিরা’ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য উদারভাবে অনুদান দিয়ে আসছে।
টিকা সেভকি মের্ট বারিসের বাংলাদেশের সমন্বয়কারী বলেছেন, বাংলাদেশি অনুদানের প্রথম চালান ইতোমধ্যেই তুরস্কে পৌঁছেছে। আমাদের প্রথম তুর্কি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশিদের দান করা প্রায় পাঁচ টন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে শনিবার সকালে তুরস্কে পৌঁছেছে। আশা করছি যে প্রায় ১০ টনের আরেকটি চালান পৌঁছাবে।’
ভয়াবহ এই দুর্যোগে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, কার্গো এয়ারলাইন্স শিঘ্রই বাংলাদেশ থেকে ১০০ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বলে আশা করছি। এছাড়া ১০ হাজার তাবু দান করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ দিকে, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এখনও বহু বাংলাদেশি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। ধ্বংসের দৃশ্য এবং কোমল শিশুসহ ক্ষতিগ্রস্তদের অসহায় মুখগুলো ভেসে ওঠে তাদের সামনে।
এর আগে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ১২ ঘণ্টা পর ৭.৫-মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ভূমিকম্পে তুরস্কে ছয় হাজার ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।
এমএইচ