করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীন
চীনের বিভিন্ন শহরে ফের করোনাভাইরাস হু হু করে বাড়ছে । মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী বেইজিংয়ের বিভিন্ন পার্ক ও জাদুঘর বন্ধের ঘোষণা এলো। এর আগে বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) চীনে আরও ২৮ হাজার ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তের এই সংখ্যা গত এপ্রিলে দৈনিক সংক্রমণের প্রায় কাছাকাছি।
করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বৃহত্তর শহর গুয়াংজু লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক উৎপাদন ও বাণিজ্যিক দিক থেকে দেশটির চতুর্থ বড় শহর গুয়াংজু গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী।
রাজধানী বেইজিংয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ২ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন বলছে করোনা মহামারি শেষের পথে তখন চীন জিরো কোভিড পলিসি বাস্তবায়নে লকডাউন, কয়েক দফায় করোনা টেস্ট, সীমান্ত নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ জারি রেখেছে। সোমবার আবারও নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে বেইজিং। বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেইজিংয়ের বেশ কয়েকটি জাদুঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ শুধু বেইজিংয়ে রোববার করোনা আক্রান্ত হয় ৯৬২ জন। একদিনের ব্যবধানে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৩৮ জন।
বিনিয়োগকারীরা এ মাসের শুরুতে আশাবাদি ছিলেন যে জিরো কোভিড পলিসির নীতিগুলো কিছুটা হলেও সহজ করা হবে, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়েছে এই মারণঘাতি ভাইরান। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। কয়েক বছরে করোনা বারবার ধরন বদলে আবারও সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
টিএস